অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কারে একমত রাজনৈতিক দলগুলো
প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার এবং দেশে চলমান সংস্কার প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে কূটনীতিক, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় শ্রম সংস্কার ও পোশাক শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধির অঙ্গীকার জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে রাজনৈতিক নেতারা অংশ নিয়ে এসব অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের গুরুত্ব অপরিসীম। ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় আইএলওর মহাপরিচালক এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের উপর শ্রম সংস্কারের বিস্তৃত প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেন।
বাংলাদেশের তিনটি প্রধান দলের রাজনৈতিক নেতা তাদের বক্তব্যে পোশাক শিল্পের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে অব্যাহত শ্রম খাত সংস্কারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারকে এর প্রবৃদ্ধি এবং টেকসইতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শ্রম সংস্কার এবং আইএলও প্রতিশ্রুতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জামায়াতের বহু নেতাকর্মীর পোশাক শিল্পে সরাসরি অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা এই খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে সহায়ক করবে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করেন। নির্বাচিত হলে তা এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমান শ্রম উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এগুলো শুধু অব্যাহত রাখাই নয়, ভবিষ্যৎ প্রশাসনের অধীনে আরও সম্প্রসারিত হওয়া উচিত।
এনসিপির সিনিয়র নেত্রী ড. তাসনিম জারা তার রাজনৈতিক যাত্রার সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত হিসেবে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। একজন মেডিকেল ছাত্রী হিসেবে আহতদের সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে অনিরাপদ শ্রম অনুশীলনের মানবিক মূল্য উপলব্ধি করিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস অর্থবহ এবং স্থায়ী সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।
এসএস//
আরও পড়ুন