ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

অবশেষে ৬৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দিল শ্রীলঙ্কা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৬, ২ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

শ্রীলঙ্কার কারাগারগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বন্দি ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় বিশ্বের কাছে অস্বস্তি পড়তে হয়েছিল রাজাপক্ষে প্রশাসনকে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা শুরু হয়। এরপরই কয়েকশ’ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ও কয়েক হাজারকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে ৬৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আরও অনেক কয়েদিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবেও বলেও জানান। 

এ প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার আইনমন্ত্রী আলি সুবারি জানান, ‘কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বন্দিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই বিষয়ে কাজও শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

গত রোববার (২৯ নভেম্বর) রাতের শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর অদূরে মাহারা সংশোধনাগারে বন্দি ও নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের জেরে ৯ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১১৩ জন। 

মাহারা জেলে ১০ হাজার বন্দির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৫ জন বন্দি কোভিড-১৯ আক্রান্ত। এখানে ক্রমশ করোনা সংক্রমণ উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ফলে বন্দিরা দাবি তুলছিল, তাদের নিরাপত্তা নেই। যে কোনও সময়ে তারাও সংক্রমিত হতে পারে। তাই তারা মুক্তি ও জামিনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলগুলোতে যত বন্দি থাকার কথা তার বেশি রয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোট ১২০০ জন বন্দির শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। ফলে বন্দিদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছিল।

সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি কাজে উদাসীনতার দায়ে জেল সংস্কার মন্ত্রী সুদর্শনী ফার্নান্দোপুলকে করোনা সংক্রান্ত একটি দপ্তরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি