ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

আঙ্কারার উপর নিষেধাজ্ঞা, হুমকির মুখে ২০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫৩, ২৮ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যকার বহুদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ার্তেমি আচরণের কারণেই দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছে আনাদুরো নিউজ অ্যাজেন্সি। রাজনৈতিক সম্পর্ক যেমনই হোক, অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বড় ধাক্কা খাচ্ছে আঙ্কারা, তা একপ্রকার নিশ্চিতই। আর দুই দেশের বাণজ্যিক সম্পর্ক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ২ হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে বলে গবেষণায় জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে, তাতে কোনোভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক ভালো হবে না বলে জানিয়েছে আনাদুলো। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, কেবল পারস্পরিক আলোচনায় দুই দেশের বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। তাই সবসময় দুই দেশকে আলোচনার দরজা খোলা রাখতে হবে বলে জানান তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসায়িক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহমাত আলী।

২০১৮ সালের প্রথম ৫ মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ৮৩০ কোটি ডলার। জানুয়ারি থেকে মে মাসে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ৩২০ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বিনিমিয়ে দেশটি থেকে আমদানি করেছে ৫১০ কোটি ডলারের পণ্য। গত ৩ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঙ্কারার বাণিজ্য ঘাটত হ্রাস পাচ্ছে নাটকীয়ভাভে। কেবল গত সপ্তাহেই এর বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রে আঙ্কারার পণ্য রপ্তানি ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ করে হ্রাস পাচ্ছে। শুধু রপ্তানি-ই নয়, বরং আমদানিও বেড়েছে দেশটির।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। দেশটি জানায়, মার্কিন নাগরিক ক্রেইগ ব্রানসনকে মুক্তি দেওয়া না হলে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে আঙ্কারার উপর। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের খলনায়ক ফেতুল্লাহসহ কুর্দী যোদ্ধাদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ব্রানসনের বিরুদ্ধে।

সূত্র: আনাদুলো নিউজ এজেন্সি
এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি