ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

আমাজনে দুই দিনে ১ হাজারের বেশি স্থানে আগুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৮, ২৫ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আমাজন মহাবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন না হলেও সম্প্রতি যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার ভয়াবহতায় পুরো বিশ্বই নড়েচড়ে বসেছে। চলতি বছরে ৭৫ হাজারের বেশি বার এ জঙ্গলে আগুন লাগলেও গেল সপ্তাহে লাগা আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এর মধ্যে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নতুন করে প্রায় ১২ শত স্থানে আগুন লেগেছে। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে আমাজন মহাবন অধিকারী দেশসমূহ।

ব্রাজিলের মধ্যে আমাজনের ৬০ শতাংশের অনেক স্থানে আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। গতকাল শনিবার আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানোর কথা বলেছে দেশটি। বিমান থেকে পানি ঢালার ব্যবস্থাও করেছে বলিভিয়া। তবু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ব্রাজিল চাইলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার কথা বললেও বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে কোনও সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ করেন ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজেভেদো।

জানা যায়, ১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে ‘দুনিয়ার ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্স জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার দফায় অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে এ বনভূমি। তবে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে এবারের আগুন সবচেয়ে ভয়াবহ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলেছে, নতুন করে সহস্রাধিক স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ৪৪ হাজার সেনা সদস্য মাঠে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এদিকে আমাজন ইস্যুতে বেশ তোপের মুখেই পড়েছে ব্রাজিলের সরকার। পরিবেশবাদীরা বলছেন, ব্রাজিল সরকার আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন কারনে বন বেশি পরিমানে ধ্বংস করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদের পাশে প্রায় ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এ রেইন ফরেস্ট। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অক্সিজেনের ২০ শতাংশেরই উৎপত্তি আমাজনে। প্রতিবছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এ বন বলে গবেষকরা জানান। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গলটিতে জ্বলতে থাকা আগুনে এরই মধ্যেই পুড়ে গেছে ৭ হাজার ৭৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকা। পৃথিবীর সবচেয়ে জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর এই অরণ্যে ২৫ লাখের বেশি পতঙ্গের প্রজাতি, ৪০ হাজারের বেশি গাছের প্রজাতি, দু’হাজার পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রজাতি এবং ২ হাজার ২০০ প্রজাতির মাছের বাস। বিভিন্ন নাম না জানা মানব গোষ্ঠীর বাসস্থান। আগুনে পুড়ে যাচ্ছে তারাও।

সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা

এমএস/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি