ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

করোনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়ে ১৮৬৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১০:০৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Ekushey Television Ltd.

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে শুরু থেকে পাল্লা দিয়ে নিহত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গত ৪৮ ঘণ্টায় কমতে শুরু করেছে উভয়ই। তারপরও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে উৎপত্তিস্থল উহানের এক হাসপাতাল পরিচালকও রয়েছেন। এই নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮৬৮ জনে। 

অন্যদিকে, গত রোববার আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল প্রায় আড়াই হাজার সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১ হাজার ৮৮৬ জনে নেমে এসেছে। এ নিয়ে চীনে মহামারি আকার ধারণ করা এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে পৌঁছেছে। 

আজ মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

চীনের বাহিরে সবশেষ গত রোববার তাইওয়ান একজনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জাপানে। গতকাল সোমবারও সূর্য্যদয়ের দেশটিতে নতুন করে দুইজনের দেহে ভাইরাসটির সন্ধান মিলেছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩’শ ছাড়িয়েছে।

এর আগে উৎপত্তিস্থল উহানে এক জাপানি নাগরিক মারা গেলেও গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) প্রথমবারের মত জাপানে এ ভাইরাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়।

এছাড়াও চলতি মাসের প্রথমদিকে হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা যান। আর গত শনিবার এশিয়ার বাইরের দেশ ফ্রান্সে এক চীনা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ৮০ বছর বয়সী ওই চীনা পর্যটক সম্প্রতি হুবেই থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে এসেছিলেন।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। তবে সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশি করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। 

তবে গত বুধবার চীন ফেরত আরও একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও চীন ফেরত দুইজনকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে কারো শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, গত রোববার হবিগঞ্জ ও বরগুনায় করোনা সন্দেহে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে পৌঁছার পর থেকেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ব্রিটিশ প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। এখন পর্যন্ত এর ২১৯ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ হুমকি হতে পারে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯। নতুন এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ এখন থেকে কোভিড-১৯ নামেই পরিচিত হবে। ভাইরাসটির নামের CO দিয়ে করোনা, VI দিয়ে ভাইরাস, D দিয়ে ডিজিজ (রোগ) এবং 19 দিয়ে ২০১৯ সালকে নির্দেশ করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো নতুন এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা

এদিকে করোনার প্রাণকেন্দ্র চীনের উহান শহরটি এখন কার্যত বন্ধ বা অচল হয় আছে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বহু স্বেচ্ছাসেবী আক্রান্তদের হাসপাতালে আনা-নেয়া করছেন। আবার অনেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের যাদের পরিবহনের ব্যবস্থা নেই তাদের সহায়তার চেষ্টা করছেন। দেশটিতে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ৩০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু। অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায়, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এআই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি