ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৬ মে ২০২৫

কারাগারে থেকেও ‘মুক্ত’ জীবন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

কারাবাস মানেই বন্দী জীবন। আত্মীয় স্বজন পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে বাইরের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন। কিন্তু ভারতের মুক্ত কারাগার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যেখানে বন্দীরা স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারবেন।
এটি এমন একটি কারা ব্যবস্থা যেখানে দণ্ডিত ব্যক্তিরা অবাধে চলাফেরা করতে পারবেন। বসবাস করতে পারেন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে। অনেকটা বাড়ির মতোই। তবে রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের ফিরে আসতে হয় এই মুক্ত কারাগারে। এই কারাগারে বসবাসের জন্য ৩২টি ঘর রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত যেসব আসামি কারাগারে ২২ বছর ধরে আছেন, তাদেরই এখানে ঠাঁই দেয়া হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরে এ ধরনের একটি মুক্ত কারাগার চালু হয়েছে। এটি এ রাজ্যের চতুর্থ মুক্ত কারাগার। বুধবার রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এ কারাগারের উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমবঙ্গে ১৯৮৭ সালের ৩১ জুলাই প্রথম চালু করা হয় মুক্ত কারাগার। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলায় চালু হয় এই মুক্ত কারাগার। এখানেই ওই সময় ঠাঁই দেওয়া হয় খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের। পরিবার-পরিজন নিয়ে এই কারাগারে বাস করার ব্যবস্থা করে পশ্চিমবঙ্গের কারা কর্তৃপক্ষ। লালগোলার সাবেক রাজবাড়িতে গড়ে ওঠে এই মুক্ত কারাগার। এখানে ঠাঁই পাওয়া ২০ বন্দিকে রাখা হয় এই মুক্ত কারাগারে। শুধু তা-ই নয়, এই বন্দিরা দিনের বেলায় বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পান। আয় করার সুযোগ পান। কেউ কেউ আবার কারাগারের বাইরে গিয়ে ছোটখাটো ব্যবসাও শুরু করেন। তবে নিয়ম হল রাত ৮টার মধ্যে ফিরে আসতে হয় কারাগারে তাদের নিজেদের আবাসস্থলে।
মেদিনীপুরে যে কারাগার করা হল, তা লালগোলার মুক্ত কারাগার থেকে একটু ব্যতিক্রম। এখানে বন্দিরা পরিবার নিয়ে থাকতে পারবেন না। একাই থাকতে হবে বন্দিকে। তবে তারা কাজ করতে পারবেন। বাইরে যেতে পারবেন। পরিবারদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর ফিরে আসতে হবে এই মুক্ত কারাগারে। সকাল ৮টায় বন্দিরা কারাগারের বাইরে যেতে পারলেও ফিরে আসতে হবে বিকাল ৫টার মধ্যে।
সূত্র : জিনিউজ।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি