কিংশুক চক্রবর্তীর একগুচ্ছ অণুকবিতা
প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ১ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৭:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০২২
				কবি কিংশুক চক্রবর্তী।
রাজদণ্ড
কালো মাথা,
পিরহানে সফেদের কার্নিভাল। 
অন্ধ? নাকি 
আকালে হারালে সকাল! 
মোহঘোর
সমাকীর্ণতার বাস্তিল। 
অনিকাম ঝরোকায় লাবণ্য শুধু -
পানোন্মত্ত দিল্!
বিভাবরী আধারেতে নিঃশেষ মধু। 
বসন্ত বিলাপ
সান্ধ্যজ্বরে ভাঙছো ফাগুন রোদ্দুর;
            আবারও মেঘ!
প্যারাডক্সের বিষাদঘন ধুলোয় 
দখিনমুখী অশ্বারুঢ় আবেগ।
বিবর্ণ
ব্যর্থ মোহমুদগারে 
আদলচোখের পুরোনো এলব্যামে 
দেখি জমা 
       নাফরমানির ধুলো;
বিবর্ণতা হায়! কিসের ইন্তেজামে?
আত্মপ্রবঞ্চনা
হাসছো -
        দত্তহারী?
নির্বাসিত মঞ্চমায়ায় 
নিঃস্ব কেমন অহংকারী?
ঝোড়ো সময়
অনুভবীর 
শ্রাবণমসিতে 
আমি নেই -
উড়ছি ঝোড়ো সময়ে!
দোজখ
মুর্শিদ হলে রুহ 
ইখতিলাফ থেকে যেত দূরে। 
শান্তির জানাজা;
দোজখ যাচ্ছি খুঁড়ে।
শ্রাবণ আবেগ
শূন্যতা মাখিস কবি,
আঁকড়ানো মেঘ!
দোয়াতে কৃষ্ণগহ্বর, তুলিতে কলমছবি 
ভাসালি সূর্যকলাপ
- এমন শ্রাবণআবেগ! 
শঙ্কা
বেলজারে ভ'রে যায় জোনাকি।
দরিয়ায় নেই দেখা সাহিলের;
নেমেসিস্ দিলে বুঝি গোস্তাকির -
                            কাবিলে?
অনন্ত নিশা
অচির প্রভায় ক্ষণজন্মা জাতিস্মর।
বোধের ঘোরের অকাল গোর!
আঙুলের ফাঁকে ঝরেছে আখর 
আলোক ছোঁয়নি অনূঢ়া ভোর। 
লেখক: পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কবি
এসি
				        
				    









