ঢাকা, রবিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৫

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৮, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৯:৫৯, ৫ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রথম ধাপে গাজা থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহারে ইসরায়েল রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ প্রায় দুই বছর আগ্রাসন চালানোর পর অবশেষে ভূখণ্ডটি থেকে নিজেদের সেনা সরাতে রাজি হলো ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার (৪ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এমনই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেয়া ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এমন ঘোষণার পর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে নতুন আরেক অগ্রগতির কথা জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউস গেল সোমবার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। যেখানে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিভিন্ন সীমারেখা দেখানো হয়।

ট্রাম্প জানান, এই সীমারেখার মধ্যেই ইসরায়েল প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন।

বিবিসি ভেরিফাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে।
 
এদিকে, খুব শিগগিরিই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দিতে পারবেন, এমন আশা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেয়া ছাড়া হামাসের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। দ্রুতই উপত্যকাটি থেকে হামাসের শাসনের সমাপ্তি ঘটানো হবে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, মিশরে ইসরায়েল ও হামাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় থাকবে বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন। মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ এবং জারেড কুশনারও বৈঠকে অংশ নেবেন।

তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ এখনও চলছে। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দুই বছরের এই হত্যাযজ্ঞ ও অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ করেছে।

এরমধ্যেই, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিদের্শ উপেক্ষা করে গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির বেসামরিক এলাকা ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে একদিনেই ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি