গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগল সম্পর্কে যা জানা গেল
প্রকাশিত : ২২:০৫, ২০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:১৫, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলোচিত এই পর্ন তারকা যুগলকে বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, ওই দম্পতি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্ন কনটেন্ট আপলোড করতেন।
জানা গেছে, ওই পর্ন-তারকা যুগল বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন।
সম্প্রতি দ্য ডিসেন্ট নামের একটি সংবাদমাধ্যম তাদের এক প্রতিবেদনে এই যুগলের বিষয়টি সামনে আনে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারকা যুগলের ২৮ বছর বয়সি নারী সদস্যটি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে উপস্থাপন করেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ওই নারী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তবে ওই ঠিকানায় গেলে দেখা যায়, সেটি তার প্রথম স্বামীর বাড়ি, যিনি পেশায় একজন জেলে। তার শ্বশুর নিশ্চিত করেন যে, তিনি তার পুত্রবধূ ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘একদিন সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, আট বছর হয়ে গেছে, আর ফিরে আসেনি’। জানা গেছে, ওই নারীর বাবার বাড়ি একই উপজেলার ভিন্ন একটি গ্রামে।
এদিকে ঐ যুগলের পুরুষ সদস্যের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। স্থানীয়রা তাকে ‘অন্ধকার জগতের মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দু’জনই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসলেও এখন সামাজিক মাধ্যমে তাদের জীবনযাপন বিলাসবহুল।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই যুগল শুধু নিজেরাই অপরাধই করছে না বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্ন ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।
এমআর//
আরও পড়ুন