চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে হত্যা
ঘটনাস্থল পিবিআই ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শন
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১১ নভেম্বর ২০১৮

রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে মেয়েকে হত্যার দুই দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল। রোববার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের মরাগাঙ্গ এলাকায় তারা তদন্ত করেন। এসময় ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশও সাথে ছিলেন।
তবে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব এখন পর্যন্ত পিবিআইকে দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান। তবে এ ধরনের ঘটনায় পিবিআই তদন্ত করতে পারে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে এসে পিবিআই’র ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাসান বারি নুর বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরত্বসহকারে তারা খতিয়ে দেখছেন। তবে মামলাটি পিবিআইতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
এসময় তিনি আরো বলেন, বাসটি টাঙ্গাইলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে না গিয়ে বাইপাইল থেকে ঘুরে আবারো ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে আসায় তাদের ধারনা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আতœসাৎ বা ডাকাতি করার জন্যই বাবা-মেয়েকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়েছিল চালক ও হেলপার বেশী দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও তারা ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের পাশের সিসি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। বাসটি শনাক্তের চেস্টা চলছে।
এর আগে শনিবার রাত থেকে মামলাটি ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ করছেন। তবে হত্যার ঘটনার দুই দিন পার হয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে জরিনা খাতুন তার বাবাকে নিয়ে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিকে নিহতের পিতা আকবর আলী জানান, বাসটি বাইপাইল থেকে ঘুরানোর পর গাড়ীর চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সাথে বাবা-মেয়ের বাকবিতন্ডতা হয়। বাসটি আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড অতিক্রমের এক পর্যায়ে আকবর আলী মন্ডলকে চলন্ত বাস থেকে ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। এরপর তিনি টহল পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
কিছু সময় পরে মহাসড়কের পাশে মরাগঙ্গ এলাকার জরিনা খাতুনের লাশ ফেলে রেখে বাসটি নিয়ে পালিয়ে যায় চালক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটির তদন্তে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান। এখবর লেখা পর্যন্ত ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরকে//
আরও পড়ুন