ছবি অপসারণের ঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টোকে রাষ্ট্রপতির চিঠি
প্রকাশিত : ২১:২৬, ১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২৭, ১ অক্টোবর ২০২৫

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি অপসারণের নির্দেশ দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন নির্দেশের পর সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার খবর আসে গণমাধ্যমে । এঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েয়েড ফেসবুক পেজে ঐ চিঠি প্রকাশ করে এ তথ্য জানান অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি। তবে চিঠিটি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পেয়েছেন কিনা এই বিষয়ে কোন তথ্য জাানাতে পারে নি সাংবাদিক সায়ের।
সালাম দিয়ে শুরু করা ঐ চিঠিতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি। সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। রাষ্ট্রপতির আসনে আসীন এবং দায়িত্ব পালনরত দেশের রাষ্ট্রপতি যেন অপদস্ত না হয় সেজন্য কি কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়া যেত না? জী, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের কূটনৈতিক অফিস থেকে আমার ছবি অপসারণের ঘটনার কথা উল্লেখ করছি।
ঐ চিঠিতে তিনি আরো বলেন, জিরো পোর্ট্রেট নীতি সরকার অনুসরণ করছে, এতে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি তো আবদার করি নাই যে আমার ছবিকে দায়মুক্তি দেয়া হোক। আমার ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে এই নীতি কৌশলে বাস্তবায়ন করলে গণমাধ্যমের খোরাক হওয়া এড়ানো যেতো, এক্ষেত্রে মানসিকভাবে আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকতো।
সরকার আইনগতভাবে সবল অবস্থানে আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ৫ই আগস্ট হতে ৮ই আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত দেশের সংকটকালে আমার কার্যক্রমও প্রনিধানযোগ্য। পরবর্তী সময়ে সরকারের উত্থাপিত সকল কার্যক্রমে আমার অবস্থান স্বতঃস্ফূর্ত এবং ইতিবাচক। তবুও কেন আমার ছবি অপসারণের ক্ষেত্রে এরূপ দৃষ্টিকটু উদ্যোগ নেওয়া হলো।
রাষ্ট্রপতি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এক রাতের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে আমার ছবিটি অপসারিত হয়ে শুধু গণমাধ্যমের উপজীব্য নয় বরং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আমার সম্মান ভূলণ্ঠিত হলো। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা একজন সচেতন নাগরিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হলো অপমানিত।
এই ঘটনায় রাষ্ট্রপতির কোন অনুযোগ নেই উল্লেখ করে চিঠির শেষ অংশে বলেন , আমার কোন অনুযোগ নাই। তবে আছে বুকভরা আর্তনাদ।
এমআর//
আরও পড়ুন