ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

জামিনে মুক্ত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

প্রকাশিত : ০৯:২৪, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

নানা আলোচনা সমলোচনার পর মানহানি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লক থেকে ছাড়া পান।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এবিষয়ে তিনি বলেন, আদালত থেকে জামিনের সত্যায়িত অনুলিপি কারাগারে জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে রোববার রাত ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি গত কয়েক দিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ১৪টি মামলায় জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ১৭ জানুয়ারি নো অর্ডার (কোনও আদেশ নয়) দেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননি `নো অর্ডার` আদেশ দেন।

 

এর ফলে মানহানির অভিযোগে শেরপুর, কুড়িগ্রাম, ভোলা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, মাগুরা, নড়াইল, চট্টগ্রাম, যশোর ও নেত্রকোনায় দায়ের হওয়া মোট ১৪ মামলায় মইনুল হোসেনের মুক্তিতে আর কোনও বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছিলেন তার পক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’

মইনুল হোসেন এ প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হন এবং বলেন ‘এমন প্রশ্ন করায় আপনাকে আমি চরিত্রহীন বলে মনে করছি।’ তার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি