ঢাকা, মঙ্গলবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলে যুমনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি, হুমকিতে আবাদি জমি ও বসতঘর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫৯, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া ও কলাবাগান এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য দুটি লোড ড্রেজার স্থাপন করা হয়েছে। এই চক্রটিই আবার বালু উত্তোলনের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেনদরবার করছে। 

সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠিতে এমনই অভিযোগ দিয়েছেন ‘আমরা নদী রক্ষা কমিটি টাঙ্গাইলের’আহ্বায়ক মোঃ ইসমাঈল হোসেন তালুকদার। তবে অভিযোগ সম্পর্কে একুশে টেলিভিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক ফোন ধরেননি। 

‘আমরা নদী রক্ষা কমিটি টাঙ্গাইলের’ আহ্বায়ক মোঃ ইসমাঈল হোসেন তালুকদার চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে ‘জনস্বার্থে বালু উত্তোলণের অনুমতি না দেওয়া’র অনুরোধ জানিয়ে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করে বলেন, টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলাধীন কাকুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত জাঙ্গালীয়া ও কলাবাগান এলাকা থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে বালু উত্তোলনের জন্য দুটি লোড ড্রেজার স্থাপন করা হয়েছে এবং বালু উত্তোলনের অনুমতির জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করছে যা মাটি ব্যবস্থাপনার পরিপন্থী। এই অশুভ চক্রকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে হাজার হাজার মানুষের বসত বাড়ীঘর,আবাদী জমি, চলাচলের রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ এবং অনেক সরকারী স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, যমুনা নদীতে দুটি জাতীয় সম্পদ রয়েছে যেমন-যমুনা বহুমূখী সেতু ও যমুনা রেলসেতু। বালু উত্তোলনের ফলে এই দুটি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে। 

চিঠিতে জেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সাধারণ মানুষের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত স্থানসূমহে জনস্বার্থে ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে বালু উত্তোলনের অনুমতি না দেওয়ার জন্য ”আমরা নদী রক্ষা কমিটি টাঙ্গাইল” আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি