ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫

টুঙ্গিপাড়ার খোকা হলেন বঙ্গবন্ধু (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৮, ১৭ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১৬:৫৫, ১৮ মার্চ ২০২১

Ekushey Television Ltd.

একশ’ বছর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের আদরের খোকা ছোটেবেলা থেকেই প্রতিবাদী। রাজনীতির দীর্ঘ পথপরিক্রমায় মধুমতিপাড়ের কাদামাটি মাখা শেখ মুজিব পরিণত হলেন বাংলার মানুষের আশা-ভরসার ঠিকানায়। তাঁর তর্জনীর ইশারায় মুক্তিকামী বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। টুঙ্গিপাড়ার খোকা হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা।

১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের কোল জুড়ে জন্ম আদরের ছোট্ট খোকার। স্কুল জীবন থেকে ফুটে ওঠে মানুষের প্রতি তাঁর দরদ। গোপালগঞ্জ মিশনারি হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন শেখ মুজিব।

ব্রিটিশদের শাসনের অবসান, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি। শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ। ভাষার বিরুদ্ধে আঘাত, রুখে দাঁড়ান শেখ মুজিব। গঠন করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। জেলে থেকেই আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হন। 

টুঙ্গিপাড়ার খোকা হলেন নেতাকর্মীদের প্রিয় মুজিব ভাই। বাংলা-বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বার বার কারাবরণ। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসেই স্বাধীনতার স্বপ্ন।

বাঙালিকে জাগিয়ে তুলতে ছুটে বেড়ান শ্যামল বাংলার পথে প্রান্তরে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ বলেন, ছোটকাল থেকেই উনাকে যতখানি দেখেছি, সেখানে আমাকেও যেটা আকৃষ্ট করেছে যে ওনার প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ব্যবহার। সেই ছোট-বড়, গরীব-বড়লোক যেই হোক না কেন। যেই ওনার কাছে গেছে উনি কিন্তু তাদের কথা শুনেছেন, কাউকে পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। ছোট একটা বাচ্চা, তাকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করেছেন।

বাংলাকে ভালোবেসে, বাংলার মানুষকে ভালোবেসে ফাঁসির মঞ্চে উঠতেও রাজি ছিলেন। বাংলার মানুষও রক্ত দিয়ে মুক্ত করেন শেখ মুজিবুর রহমানকে। গণঅভ্যুত্থানের পর খোকা হলেন বঙ্গবন্ধু।  

অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ আরও বলেন, সাধারণ একটি বাঙালি পরিবারে যেমন করে নিজের বাবা-মাকে দেখেছি, ওনাকে কিন্তু তেমনভাবে দেখেছি। বেশি বেশি বলছি এই কারণে যে, আমরা কিন্তু তাঁকে চিনিনি, তাঁকে জানতাম না। এখন চেনার সুযোগ এসেছে, জানার সুযোগ এসেছে। 

ধানমন্ডির ৩২ই হয়ে ওঠে বাঙালির ঠিকানা। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হলো। বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় বাঙালি ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। স্বাধীনতার রাঙাভোরে বঙ্গবন্ধুই তো মুক্তিদূত। তিনিই তো বাঙালি জাতির পিতা। 

অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ বলেন, তিনি প্রতিটি মানুষকে গুরুত্ব দিতেন, সম্মানটুকু দিতেন।

মাত্র একান্ন বছর বয়সে জাতির পিতা যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন সেই স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর মুখে বাঙালি উদযাপন করছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, মুজিববর্ষ।
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি