নোবেল জয়ী তাসুকু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
প্রকাশিত : ১৮:৫১, ১ অক্টোবর ২০১৮

মানবজাতি ও সভ্যতার প্রতি অনবদ্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের প্রতি বছর পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে সুইডেনের নোবেল কমিটি। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি, পদার্থবিদ্যা এবং চিকিৎসা; এই ৫টি বিষয়ে অনন্য কাজ করা ব্যক্তিদের পুরস্কার দিয়ে আসছে এই কমিটি। ১৯৬৮ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতি। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে কমিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি. অ্যালিসন এবং জাপানের তাসুকু হনজো’কে এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়েই ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে ধ্বংস করার তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তাসুকু সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
জাপানি চিকিৎসাবিজ্ঞানী তাসুকু হনজো ১৯৪২ সালের ২৭ জানুয়ারী জাপানের কিওটো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা ও ক্যারিয়ার মিলিয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়েই কাটিয়েছেন। ১৯৬৬ সালে মেডিসিন বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন হনজো।
১৯৭৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রী। এর আগে ১৯৭১ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল রসায়ন বিভাগে অর্জন করেন আরও একটি বিএসসি ডিগ্রী।
তাসুকু হনজো ক্যারিয়ারে নিজেকে একজন সফল ইমিনোলজিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কোষের ত্বকে ‘প্রোগ্রামড সেল ডেথ প্রোটিন-১ বা পিডি-১’ আবিষ্কারের জন্য ব্যাপক খ্যাতি পান তাসুকু হনজো। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা থেকে বিরত রাখতে পারে এই প্রোটিন।
একই সঙ্গে অ্যাক্টিভিশন ইনডিউসড সিডিটিন ডিমাইনেক আবিষ্কার এবং সাইটোকাইনস চিহ্নিত করণের জন্যও বেশ বিখ্যাত তাসুকু। কোষ বিষয়ে তার বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে “Genes hold within themselves the ability to change”.
অধ্যাপক ড. তাসুকু হনজো বর্তমানে কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর অ্যাডভান্স স্টাডি এর ডিসটিংগুইশড প্রফেসর এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি এবং জেনোমিক মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। একই সাথে জাপানের ফাউন্ডেশন অব বায়োমেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন এই অধ্যাপক। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ইমপেরিয়াল পুরস্কার, ২০১২ সালে কোচ প্রাইজ, ২০১৪ সালে টং পুরস্কার এবং ২০১৬ সালে কিওটো পুরস্কার অন্যতম। সর্বশেষ চলতি বছর চিকিৎসা শাস্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি এলিসনের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেলেন এই অধ্যাপক ড. তাসুকু হনজো।
আরও পড়ুন