পদাতিক নাট্য সংসদের নতুন নাটক ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’
প্রকাশিত : ১৮:২১, ৪ নভেম্বর ২০২৫
আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার ও রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে পদাতিক নাট্য সংসদ-এর নতুন নাটক ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। এটি সংগঠনটির ৪৫তম প্রযোজনা।
আরব্য রজনীর বিখ্যাত গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, আর অভিনয় আয়তন পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী।
নাটকটির নির্দেশনা সহযোগ ও আলো পরিকল্পনা করেছেন আহম্মেদ রাউফুর রহিম। সংগীত পরিকল্পনা করেছেন রুদ্র সাওজাল কাব্য ও রাইসা হাসিন, গীত প্রশিক্ষণের দায়িত্বে আছেন আজিজুল হিমেল, এবং আবহধ্বনি পরিকল্পনায় রয়েছেন রুদ্র সাওজাল কাব্য।
নৃত্য ও দেহবিন্যাস করেছেন সৈয়দা শামসি আরা, পোশাক পরিকল্পনা মুনিরা মাহজাবীন মিমো, আর দ্রব্য ও অলংকার পরিকল্পনায় রয়েছেন সৈয়দা শামসি আরা ও উম্মে হানী।
নাটকে অভিনয় করেছেন, শরীফুল ইসলাম সাফি, মেঘা ঘোষ, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিয়াউল হক, মোছা. জিনিয়া আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, হাসিনা আকতার নিপা, জাবেদ পাটওয়ারী, ইব্রাহিম খলিল, নূর-ই-আলম সুমন, নুরুন্নাহার পাপিয়া, কামরুননেসা দোলন, তন্ময় বিশ্বাস, এস.এম. লিমন, নুসরাত জাহান বন্যা, বর্ষা ঘোষ, সবুজ খান, তপু চন্দ্র দাস, মনির হোসেন চিশতি, রাবেয়া রাবু ও সাব্বির আহমেদ।
গল্পসংক্ষেপ
সম্রাট শাহরিয়ার তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। ধীরে ধীরে তিনি এক নারীবিদ্বেষী শাষকে পরিণত হন। প্রতিদিন তিনি রাজ্যের একজন করে অবিবাহিত নারীকে বিয়ে করেন এবং তাকে শর্ত দেন, যদি তাকে গল্প শুনিয়ে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে না পারে, তবে ভোর হতেই সেই নারীকে হত্যা করা হবে। একে একে নিহত হলেন রাজ্যের প্রায় সব নারী, বাকী রইলেন কেবল উজিদের দুই কন্যা। বড় কন্যার নাম শেহেরজাদ। এবার পালা আসে তার। দারুণ বুদ্ধিমতি শেহেরজাদ শুরু করেন গল্প বলা। বলতে বলতে পেরিয়ে যায় হাজার রাত্রি। প্রতিটি গল্পই ধীরে ধীরে সম্রাট শাহরিয়ারকে পুনরায় প্রেমে পূর্ণ মানুষ রূপে গড়ে তোলে। শাহরিয়ার নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
কথিত আছে যে, শেহেরজাদের বলা সেই সব গল্পেরই একটি হলো ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’।এ গল্পে কাঠুরে আলিবাবা কাঠ কাটতে গিয়ে বনের ধারে এক গুহায় আকস্মিকভাবে ডাকাতদলের গোপন ধনের ভাণ্ডারের সন্ধান পায়। কিছু সম্পদ নিয়ে ফিরে আসে সে। লোভে পড়ে তার ভাই কাসিমও যায় গুহায় এবং ডাকাতদের হাতে ধরা পড়ে প্রাণ হারায়।
আলিবাবা ভাইয়ের দেহ ফিরিয়ে এনে দাফন সম্পন্ন করে। কিন্তু ডাকাতদল আলিবাবার সন্ধানে বের হয় এবং ছদ্মবেশে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বুদ্ধিমতী মার্জিনা - যে একজন গৃহকর্মী এবং পরে আলিবাবার পুত্রবধূ - কৌশলে ডাকাতদলের দুরভিসন্ধি ব্যর্থ করে দেন।
সমাজে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতদের বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের লুট করে আনা সম্পদ সাধারণের মাঝে বন্টন করার আভাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয় গল্প।
এমবি//










