প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার
প্রকাশিত : ০৯:৫৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ ও বিক্ষোভ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমানা বিন্যাস নিয়ে ১৪টি রিট হয়েছে। আমরা আদালতের প্রতি আস্থাশীল। যারা রিট করেছেন, তারাও আদালতের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই আদালত থেকে নির্দেশনা আসুক। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করি।’
সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আন্দোলন-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ আরও বলেন, যে কোনো প্রেক্ষাপটে ভাঙচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে এটা এখন আদালতে গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা মানা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা হবে। যদিও আইনের সাত ধারায় বলা আছে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এখন রিট করা মৌলিক অধিকার।
প্রবাসী ভোটারদের ভোট বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। কেউ প্রবাসে থাকা অবস্থায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করে দেশে চলে এলে আর ভোট দিতে পারবেন না। প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। ভোটারপ্রতি ব্যয় হবে ৭০০ টাকা।
ইসি সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর ইসির বৈঠক করার কথা রয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি কেনাকাটা হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন সামগ্রীর সংকট নিয়ে সংশয়ের কারণ নেই।
ইসি সচিব জানান, ইতোমধ্যে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী ২২টি নতুন রাজনৈতিক দলের সরেজমিন তদন্ত শেষ হয়েছে। তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের আবেদন করেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সংলাপের কথা রয়েছে। আগামী রবি বা সোমবার কমিশন সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪৯ কোটি টাকা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে আলাদা প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বাজেটে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখার জন্য সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় ২৩ মাসব্যাপী ৩০ জন পরামর্শকের পেছনে ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
ইন্টারনেট, ফ্যাক্স ও টেলেক্স ক্রয় খাতে ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৫৬ লাখা ৬২ হাজার টাকা। এ ছাড়া কম্পিউটার, সফটওয়্যার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি, আসবাব, আপ্যায়ন, প্রশিক্ষণ, সমীক্ষা, সেমিনার, প্রচার ও বিজ্ঞাপন, সম্মানী, ডাটা সংরক্ষণসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হবে।
আরও পড়ুন