বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১১, ২৪ মে ২০২২
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। সুনামগঞ্জে কয়েকটি উপজেলায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, নেত্রকোনায় ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা।
সিলেট শহর থেকে পানি নামলেও কানাইঘাটের সুরমা, জকিগঞ্জে অমলশীদ এবং বিয়ানীবাজারের শেওলা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ।
স্থানীয়রা জানান, “কত মালামাল যে নষ্ট হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না।”
এক ব্যবসায়ী জানান, “পঞ্চাশ-ষাট লাখ টাকার মাল পানির তলে। এখন পানি নামতে শুরু করেছে, অনেক মালামালই নষ্ট।”
এদিকে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জের কয়েকটি এলাকা।
সুনামগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে শাল্লা, ধর্মপাশা ও জগন্নাথপুর উপজেলায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেইসাথে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
স্থানীয় এক নারী জানান, “পানি নাই, বাচ্চারা কান্নাকাটি করে। পুরুষরা কাজকর্ম করতে পারছেন না।”
তবে সংকট মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি আছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “যত দিন পর্যন্ত মানুষের এই মানবিক সহায়তা প্রয়োজন হবে বর্তমান সরকার সেই সহায়তা কার্যক্রমটি অব্যাহত রাখবে।”
সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, “বানবাসী মানুষের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে বিতরণ করা হয়েছে।”
এদিকে, পাহাড়ী ঢল ও উজানের পানি প্রবেশ করছে নেত্রকোনার ফসলি জমিতে। তলিয়ে গেছে পাকা ধান। পাশাপাশি শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, “এক রাতের মধ্যে বেশির ভাগ জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন কাটতে পারছি না। হাজার-১২শ’ টাকা দিয়ে লোক পাওয়া যাচ্ছে না।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে নেত্রকোনায় তলিয়ে গেছে ৪৮০ হেক্টর জমির ধান।
এএইচ/
আরও পড়ুন