বর্তমানে গাজীপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে ছিল ছাত্র জনতা
প্রকাশিত : ০৯:২৬, ১৯ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ০৯:২৬, ১৯ মার্চ ২০১৭
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুর, বর্তমানে গাজীপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে ছিল ছাত্র জনতা। এখানেই গড়ে তুলেছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। শ্লোগান উঠেছিল “জয়দেবপুরের পথ ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর”। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, এই দিনটাকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করার।
মার্চের উত্তাল দিনে জয়দেবপুর ভাওয়াল রাজবাড়ীতে অবস্থিত দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙ্গালী সৈন্যদের সুকৌশলে নিরস্ত্র করার জন্য অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদরদপ্তর।
সে সময় মুক্তিকামী বাঙ্গালী জোয়ান ও কর্মকর্তারা অস্ত্র জমা না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে । বাঙ্গালী সেনাদের মনোভাব বুঝতে পেরে পাক হানাদার বাহিনী বিগ্রেডিয়ার জাহানজেব ১৯ মার্চ ১ কোম্পানী পাঞ্জাবী সৈন্য নিয়ে জয়দেবপুরের দিকে রওনা হয়।
খবর শুনে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ছাত্র জনতা। তারা পাকবাহিনীকে বাধা দেয়ার জন্য চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সড়কে বেরিকেড সৃষ্টি করে। এই প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দেয় কিছু বাঙ্গালী সেনাও।
এই দিনটাকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।
এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়ে উঠে প্রেরণা। মাতৃভূমিকে রক্ষার প্রাণপণ লড়াইয়ে যোগ দিতে থাকে বাঙালি সেনারা।
আরও পড়ুন