বিনিয়োগবান্ধব বাজেট তৈরির সুপারিশ অর্থনীতিবিদদের
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ৩০ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৪:০৭, ৩০ মে ২০১৭

কয়েক বছর গ্যাস-বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিনিয়োগ না বাড়লেও সম্প্রতি এ খাতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা এবার বিনিয়োগবান্ধব বাজেট তৈরির সুপারিশ করেছেন। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাফ জানিয়েছেন, বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগ-এফডিআইয়ের আকর্ষণে নতুন কোন প্রণোদনা দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৩৬ কোটি ডলার। আর বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত স্থানীয় ৪৬৯ টি প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। পরিমান আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশী। প্রস্তাবিত এবং চলমান বিনিয়োগ সফল করতে এবারের বাজেটে প্রণোদনা বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয়মাসে রপ্তানি ৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৫৩৩ কোটি ডলার হয়েছে আর এই সময়ে আমদানি সাড়ে ১০ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ২৩৬ কোটি ডলারে ঠেকেছে। তাতে আগের বছরের বাণিজ্য ঘাটতি ৪৭৯ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৭০৩ কোটি ডলার হলেও আমদানিপন্যের ধরন দেখলে বিনিয়োগে সুবাতাস পাওয়ার ইঙ্গিত মেলে। তৈরিপন্যের আমদানি কমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানির বাড়ার সাম্প্রতিক হিসেবে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়ে হয়েছে তা কাজে লাগাতে সরকারী বিনিয়োগের সঠিক বাস্তবায়ন চান অর্থনীতিবিদরা।
তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানিয়েছেন, স্থানীয় বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশী বিনিয়োগে গতি আসে না। এজন্যে এ খাতে তিনি আর কোন প্রনোদনা দিতে চান না।
অর্থনীতিবিদরা চান, নতুন বাজেটে সরকার এমন কর্মকৌশল নিক, যাতে বেসরকারী বিনিয়োগে প্রাণচাঞ্চল্য আসে।
আরও পড়ুন