ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ আগস্ট ২০২৫

ভুয়া জামিনে ১০৬ জন আসামীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ায় পেশকারসহ ৫ জনকে কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ১৮:০০, ২২ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৮:০৪, ২২ মার্চ ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ১০৬ জন আসামীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগে জজ আদালতের পেশকারসহ ৫ জনকে দুই ধারায় ৭ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত। একই সাথে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১০৬ জন আসামীকে মুক্ত করতে একাট্টা হয় আদালতের পেশকার-পিয়নসহ ৫ জন। বিচারকের সই জাল করে ভুয়া জামিননায় মুক্তি দেওয়া হয় ১০৬ আসামীকে। সকালে আসামীদের  আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় আসামীদের বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ডক্টর আখতারুজ্জামান  ৪৬৩ ও ৪৭১ বিধি মোতাবেক দুই ধারায় ৭ বছর করে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কিন্তু  একইসাথে সাজা কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মূলত ৭ বছর কারাভোগ করতে হবে। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক বেঞ্চ সহকারী মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া, আদালতের স্টাফ মোহাম্মদ নাঈম এবং বাকি ৩ জন উমেদার আলমগীর, ঈসমাইল ও জাহাঙ্গীর। ৫ আসামীর মধ্যে ২ জন পলাতক রয়েছেন। এদিকে এই মামলার তদন্তে দায়িত্বে থাকা দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। দুদক মহাপরিচালক বরাবর রায়ের কপি পাঠিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সই জাল করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জামিন করানোর ঘটনায় ২০১৫ সালের ১২ই জুলাই কোতয়ালী থানায় মমলা হয়। পরের বছর ১৫ জুন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযাগ গঠন করা হয়।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি