ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে জেলে যাওয়ার হিড়িক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৮, ৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৮:২৯, ৬ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

কথায় আছে, ‘ বাঘে ছুঁলে আঠেরো ঘা আর পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ’। আর জেলে গেলে যে কতো, তার হিসেব নেই। তবে স্তাই পারতপক্ষে উর্দিধারী ও জেল দুইই এড়িয়ে চলা নাকি বুদ্ধিমানের কাজ। তবে প্রবাদ মিথ্যে করে এবার জেলে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। তাও আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।

শুনতে অবাক লাগলেও, নেলসন ম্যান্ডেলার জেলের কুঠুরিতে একটি রাত কাটানোর জন্য পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। বার্ষিক ‘স্লিপআউট’ নামের একটি প্রোগ্রামের দৌলতে এবার রাত কাটানো যাবে রবেন আইল্যান্ডের জেলের কামরায়। তবে তার জন্য দিতে হবে বিশাল অঙ্কের ভাড়া। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় তিন দশক জেলে কাটিয়েছেন ম্যান্ডেলা। তার মধ্যে কেপ টাউনের রবেন আইল্যান্ডের জেলে ১৮ বছর বন্দি ছিলেন সাউথ আফ্রিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট।

ম্যান্ডেলার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে ৮ ফুট বাই ৭ ফুট কুঠুরির দরজা। ওই সেলেই এক রাত কাটানোর জন্য নিলাম ডাকা হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে নিলামের টাকা যাবে সেবামূলক কাজে। এখনও পর্যন্ত উঠেছে ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ নিলামের শেষ দিন। তবে মনে করা হচ্ছে বুলি আরও চড়বে। ‘সেল নম্বর-৭’-এ রাত কাটাবেন নিলামে জয়ী ব্যক্তি। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বুলি অনুযায়ী ৬৬ জন ওই জেলের অন্যান্য কামরায় থাকতে পারবেন।

জানা গিয়েছে, নিলাম থেকে পাওয়া টাকা জেলবন্দিদের শিক্ষায় খরচ করা হবে। ‘প্রিজন টু পাইপলাইন’ প্রকল্পের আওতায় জেলবন্দিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিতেই এই পদক্ষেপ। অনেকেই এহেন কর্মসূচির প্রশংসা করলেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনদের একাংশের মতে বর্ণবিদ্বেষের লড়াইকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা মোটেই উচিত নয়। এতে সংগ্রামীদের অপমান করা হয়। তবে তর্ক বিতর্কের মাঝেও ওই কামরার চাহিদা তুঙ্গে।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি