ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রিজার্ভ চুরি : উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করছে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৫, ২৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৫, ২৮ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ পেয়েছে যে ২০১৪ সালে সনি স্টুডিওতে হামলা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পেছনে উত্তর কোরিয়ার হাত ছিল। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আইনজীবীরা পিয়ংইয়ং এর বিরুদ্ধে মাললার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসেও ওয়ালস্ট্রীট জার্নালে এমনই একটি খবর প্রকাশ করা হয়েছিল। চার মাস পর রয়টার্সের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্রুপ ল্যাজারাস বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি করে। এছাড়া এই গ্রুপটি সম্প্রতি ভিয়েতনামের ব্যাংক, ২০১৪ সালে সনি স্টুডিওতে হামলা এবং ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায়  ফিন্যানসিয়াল সিকিউরিটি ইন্সটিটিউটে (এফএসআই) সাইবার হামলার ঘটনা ঘটায়।

এফএসআই এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হামলা চালায় ল্যাজারাস এর হ্যাকাররা।

কিছুদিন আগে রাশিয়াভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কিও দাবি করে, তাদের কাছে প্রমাণ আছে নিউউয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার একদল হ্যাকার জড়িত রয়েছে।

এর কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চীনা মধ্যসত্ত্বভোগীদের সহায়তায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের অর্থ লোপাট করেছে।

তখন এফবিআইর তদন্ত কর্মকর্তারাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা উত্তর কোরিয়া যদি ডিজিটাল চুরির আশ্রয় নেয় তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এফবিআইর কর্মকর্তারা দাবি করেন, হ্যাকাররা একই কোড ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক, ভিয়েতনামের ব্যাংক, ২০১৪ সালে সনিতে হামলা এবং ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাইবার হামলার ঘটনা ঘটায়।

ক্যাসপারস্কির প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাজারাসের হ্যাকাররা শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে ইউরোপের একটি সার্ভারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি করে। যে সার্ভার ল্যাজারাসের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ক্যাসপারস্কির গবেষক ভিটালি কামলুক তখন বলেন, শুরুতেই তারা উত্তর কোরিয়া ও ল্যাজারাসের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টির প্রমাণ পান। ২০০৯ সাল থেকেই এই হ্যাকিং গ্রুপটি সক্রিয় রয়েছে বলে তাদের কাছে প্রমাণাদিও রয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের কিছু অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন হ্যাকাররা।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি