ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

শান্তিতে নোবেলজয়ী জন হিউমের প্রয়াণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৫, ৩ আগস্ট ২০২০

Ekushey Television Ltd.

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনীতিবিদ জন হিউম আর নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের প্রয়াণের খবর জানানো হয়। মৃত্যুকালে হিউমের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। খবর এএফপি, বিবিসি

জন হিউমের পরিবার থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, জন আর নেই। ভোরের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। হালকা
অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।”

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর সোমবার (৩ আগস্ট) সকালে লন্ডনডেরির ওয়েনমোর নামের একটি নার্সিং হোমে তিনি মারা যান। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন।

উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি স্থাপনে অসামান্য অবদান রাখায় আরেক আইরিশ রাজনীতিবিদ ডেভিড ট্রিম্বলের সঙ্গে ১৯৯৮ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাকে। ‘গুড ফ্রাইডে’ চুক্তির মাধ্যমে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। হিউম ছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্যাথলিক সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক অ্যান্ড লেবার পার্টির (এসডিএলপি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৯ সাল থেকে ২০০১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি এসডিএলপি পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের ক্যাথলিক জাতীয়তাবাদী ও প্রোটেস্টান্ট ইউনিয়নবাদীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছিল। ক্যাথলিক জাতীয়তাবাদী এই নেতার চাওয়া ছিল আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার, পক্ষান্তরে প্রোটেস্টান্ট ইউনিয়নবাদীরা চেয়েছিল ব্রিটেনের অংশ হয়ে থাকতে।

দীর্ঘ দিন টানাপোড়েন শেষে ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে সম্পাদিত হয় গুড ফ্রাইডে তথা বেলফাস্ট চুক্তি। উত্তর আয়ারল্যান্ড কিভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত তা নিশ্চিতে ব্রিটিশ, আইরিশ সরকার ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা এই চুক্তিতে একমত হন।

হিউমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “জন হিউমের জীবনের তাৎপর্য ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। গত শতকে আইরিশদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি