১৩ মামলার আসামি পৌর কাউন্সিলর অস্ত্রসহ আটক

বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক বন্দর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী (৪৫)কে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিনসহ আটক করেছে যশোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২ এপ্রিল) ভোরে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি গ্রাম থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি অভিযানিক দল।

যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপম কুমার জানান, গত ২৮ মার্চ অবৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দখল করার সময় পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অর্ধশতাধিক বোমা হামলা চালায় বন্দর এলাকায়। বোমা হামলায় আহত হন একজন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন শ্রমিক। এঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেছে। এছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৩৬ জন। এর মধ্যে রাশেদ আলী ১ নম্বর আসামী। মামলার পরপরই গা ঢাকা দেয় রাশেদ আলী।

পুলিশ জানায়, কাউন্সিলর রাশেদ আলীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারিকে মারপিট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা ও ছিনতাইসহ বেনাপোল পোর্ট থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। রাশেদ আলী বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে। রাশেদকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে ডিবির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিবি। রাশেদের সঙ্গীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

এদিকে শনিবার বেনাপোলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরে বোমা হামলার ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ৭ জন আসামীকে আটক করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, আজ ৭ জন ও ডিবির হাতে আটক এ মামলার প্রধান আসামীসহ এ পর্যন্ত ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফুটেজ দেখে আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি কামাল ভূইয়া।

অন্যদিকে শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা ও অভিযুক্ত আসামীদের আটকের দাবিতে বেনাপোল বন্দরে কর্মরত বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিস্ট্রেশন নং-৮৯১ ও ৯২৫) শত শত শ্রমিক সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে গত ৪দিন ধরে। 
কেআই//