ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫

১৯৬২ -এর পরে সবচেয়ে গুরুতর লাদাখ পরিস্থিতি: জয়শঙ্কর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০২০

Ekushey Television Ltd.

১৯৬২-এর পর "সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতি" তৈরি হয়েছে পূর্ব লাদাখে। ৫৮ বছর আগের ভারত ও চীনের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

জয়শঙ্কর বলেন, "৪৫ বছর পরে সীমান্তে কোনও সামরিক হতাহতের এতবড় ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুপাশে উভয় পক্ষের যে সংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে তাও নজিরবিহীন।" খবর জিনিউজ

মে মাস থেকে উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত। গালোয়ানে ভারত ও চীনের সংঘর্ষে প্রাণহানির খবর মিলেছে দুই পক্ষ থেকেই। তারপরেও একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলেও রফাসূত্র মেলেনি। ভারতের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে, এমনও চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। তবে কেন্দ্র বারবার বুঝিয়ে দিয়েছিল চীনের পাল্টা দিতে ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। কিন্তু মোদীর বিদেশমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ১৯৬২ এর যুদ্ধের পর এটাই "সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতি।" তাহলে কি ৫৮ বছরের পর ভারত-চীন সীমান্তে শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হলো মোদী সরকার! এ প্রশ্নও কিন্তু জয়শঙ্করের কাছে ব্যুমেরাংয়ের মতো ফেরত পাঠাচ্ছেন রাজনৈতিক  বিশেষজ্ঞরা।

তবে মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ভারত স্পষ্ট ভাবেই চীনকে জানিয়েছে সীমান্ত এলাকায় শান্তিই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি। এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন গত দশকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ডেপসাং, চুমার ও ডোকলাম সীমান্তে একাধিকবার সীমান্ত পরিস্থিতি কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।

আমরা চীনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই ভাবেই বোঝাপড়ার চেষ্টা করছি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি