ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ জুলাই ২০২৫

১৯ বছর ধরে পাবলিক টয়লেটেই যার বসবাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২২, ২৩ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মানুষ একটু সুখের জন্য কত কি করছেন। বাড়ি গাড়ি অট্টালিকা তৈরি করছেন। আর তিনি ১৯ বছর কাটিয়ে দিলেন পাবলিক টয়লেটে। পথের ধারে শৌচাগার। হাজারো মানুষের নিত্য আনাগোনা। সেই শোচাগারের মধ্যেই দিন গুজরান বছর ৬৫-র এক বৃদ্ধার।

মাস কয়েক বা বছর খানেক নয়। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের রামনাদে গত প্রায় দু'দশক ধরে শৌচাগারেই থাকেন কারুপ্পায়ী। কন্যা সন্তান থাকলেও সে দেখভাল করে না। তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবেই সেখানে থাকতে শুরু করেন বৃদ্ধা। তার এ দুরাবস্থা দেখে গত ২০ বছর বহু মানুষ তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু, তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন।

কী কারণে তার এই অনড় মনোভাব? সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্য ষাটের বৃদ্ধা কারুপ্পায়ী জানিয়েছেন, ওই শৌচাগার পরিষ্কার করে প্রাপ্ত অর্থই তার এক মাত্র রোজগারের পথ। দিনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা উপার্জন করেন তিনি। অন্যস্থানে গেলে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তাই মন্দের ভালো রামনাদ এলাকার এই শৌচাগারে বসবাস।  

লোকের সাহায্য তো নেননি কারুপ্পায়ী। কিন্তু, এত বছরে কারোর কাছে আশ্রয়ের জন্য কী একবারও আবেদন করেছিলেন তিনি? প্রশ্ন শুনতেই কঠিন হল বৃদ্ধার চোয়াল। সরু চড়িয়ে বললেন, ‘অবসরকালীন ভাতার জন্য আবেদন করেছিলাম। হয়নি। পরে জেলা শাসকের দফতরে বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলাম আমার অবস্থার কথা। কিন্তু তারপর আর কিছুই এগোয়নি।'

শৌচাগারের মধ্যেই একচিলতে জায়গা। সেখানেই থাকেন কারুপ্পায়ী। রয়েছে তার প্রয়োজনীয় বাসন থেকে শাড়ি, বিছানা সবই। দেখলে অবাক হতে হয়। বৃদ্ধার আশ্রয়ের ছবি অনলাইনে দিতেই তা ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা দেখে বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে এগিয়েও এসেছিলেন। তবে, তার ওই এক কথা। তিনি সহযোগিতা নেবেন না।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি