সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর নেই
প্রকাশিত : ২০:২১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:৪৭, ৪ এপ্রিল ২০১৭
জীবন মৃত্যুর ভেদরেখা মুছে অমর হয়ে গেলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে অবাধ বিরণ ছিলনা না সৈয়দ হকের। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। শুধু সাহিত্য চর্চাই নয়, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেমে এসেছেন রাজপথেও। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি বে-সরকারি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এই কীর্তিমান লেখক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। এর পর আর থেমে থাকেননি। তার অনণ্য সাহিত্য কীর্তির জন্য ১৯৮৪ সালে পান একুশে পদক। পেয়েছেন জাতীয চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার। বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র হয়েও বাংলা সাহিত্যকে ভালবেসেছেন নিগূড়ভাবে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ হক। পিতা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও হালিমা খাতুন দম্পতির আট সন্তানের প্রথম সন্তান তিনি। শিক্ষাজীবনের শুরু কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাবার ইচ্ছায় ডাক্তারি না পড়ে ১৯৫১ সালে বম্বে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি এক সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। স্নাতক পাসের আগেই পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তাঁর প্রথম উপন্যাস দেয়ালের দেশ প্রকাশিত হয়। অল্প বয়সে পিতাকে হারিয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। অর্থকষ্ট আর ভাইবোনদের মানুষ করার গুরুদায়িত্বের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সাহিত্য চর্চা। এক ছেলে ও এক মেয়ের গর্বিত জনক সৈয়দ হক ব্যক্তিজীবনে প্রথিতযশা লেখিকা ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের স্বামী।
আরও পড়ুন










