ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

গতি ফিরেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ কাজে গতি ফিরেছে। ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে কাজ।

১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের মধ্যে প্রথম দফায় নির্মাণ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন। এরমধ্যে দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার রেলরুট নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ-সিআরইসি এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেড। 

চকরিয়া থেকে রামু পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার নির্মাণ করছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এর মধ্যে এখন চলছে রেলপথ নির্মাণে মাটি ভরাট, রাস্তা তৈরি, ব্রীজ-কালর্ভাট নির্মাণসহ রেল ট্র্যাক স্থাপনের কাজ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল স্থাপনের কাজ এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। লট-১ দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত মাটি ভরাট কাজ শেষ হওয়ার পর এখন শুরু হবে রেল ট্রাক স্থাপনের কাজ। এ কাজটি অতি শীঘ্রই শুরু করবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সৈকত শহর কক্সবাজারকে সম্পৃক্ত করে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।  

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এক সময়ে স্বপ্ন ছিল, অনেক দিন পর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে যানবাহনের যে চাপ সেই চাপ অনেকটাই প্রশমিত হবে।

প্রকল্পের শুরুতে ভূমি জটিলতা এবং গেল দু’বছর করোনার কারণে প্রকল্পের কাজে কিছুটা স্থবিরতা তৈরি হলেও সমস্যা এখন কেটে গেছে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তারা আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবেন।

ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের মোটামুটি ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন আমরা সাব-ব্লাস্টের কাজ শুরু করেছি। 

তমা কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর প্রকৌশলী বিমল চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের ২০টি ব্রিজ ছিল, এর মধ্যে সবগুলোই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ১০২টি কালভার্টের মধ্যে ৯৩টি সম্পন্ন হয়েছে বাকিগুলোর কাজ চলছে।

এদিকে জীব বৈচিত্র রক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণসহ হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণের কথা জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, হাতি যে জায়গাগুলো দিয়ে চলাচল করে তাদের সেই রুটগুলো আমাদের ঠিক করে রাখতে হবে। সেজন্য ওখানে পারাপারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উপর দিয়ে হাতি চলে যাবে নীচ দিয়ে রেল যাবে।

পৃথিবীতে রেললাইনের উপর দিয়ে কোন ওভারপাস নেই হাতি চলাচলের জন্য। আমরাই প্রথম করবো। এডিবির এটি শর্ত ছিল। শুধু এডিবি নয় আমরাও কমিটেড দেশের পরিবেশের জন্য।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালু হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি