ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টিকা কার্যক্রমে নিরলস সেবা দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৩:২০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সারাদেশে সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খলভাবে টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রতিটি টিকা কেন্দ্রেই দক্ষ স্বেচ্ছাসেবকরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়ক হয়ে নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দিন শেষে সেবাগ্রহীতার অমলিন তৃপ্তির হাসিটুকুই তাদের একমাত্র অনুপ্রেরণা।

অপরাজিতা সূত্রধর, উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে মানুষের সেবায় মাঠেঘাটে দৌঁড়ে বেড়ান। চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে বুকে ধারণ করেছেন মানবসেবার মহান ব্রত। মহামারিতে ভুক্তভোগি মানুষকে সাহস জুগিয়েছেন।

মানুষ মানুষের জন্য- এই বিশ্বাস ধারণ করেন স্বেচ্ছাসেবী হাসান জামিল। দুর্যোগে, দুর্বিপাকেই আসল পরিচয় মেলে মানবিকতার। করোনাকালে চিকিৎসা সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়ে নিরলস কাজ করছেন টিকা কার্যক্রমেও। 

তাদের মতো হাজারো স্বেচ্ছাসেবী এভাবেই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেবার তাগিদটা অর্থ কিংবা প্রাপ্তির গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়।

হাসান জামিল জানান, যে কোন পরিস্থিতিতে সকল প্রকার ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে আমাদের প্রথম কাজ হলো সেবা দেওয়া। মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রয়াসে এই ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হই। অপরাজিতা জানালেন, যারা এখনও সুস্থ্য আছেন তাদেরকে রক্ষা করার জন্য যে কোন ধরনের সাহায্যমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের।

সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিনের শুরু। তাদের সহায়তা পেয়ে স্বস্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, রোগী ধরে নিয়ে আসে, দাঁড়িয়ে থেকে সাহায্য করে, জায়গাটা এক্সপোজাল করে দিচ্ছে এসব স্বেচ্ছাকর্মীরা।

স্বেচ্ছাসেবাও আনাড়ি হাতে হয়না, তাই দেশজুড়ে সেবা দিয়ে যাওয়া সাড়ে ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েই মাঠে নামিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, যতোগুলো কেন্দ্রে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলছে এর সব জায়গায় রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার পাবেন। এটা কিন্তু তাদের কমিটমেন্টের জন্য হয়েছে, আমরা কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। দেখা গেছে যে, তারা না খেয়েই কাজ করছে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, মোট চার হাজার থেকে সাড়ে হাজার ভলান্টিয়ার মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। এজন্য আমরা প্রায় পনের হাজার ভলান্টিয়ারকে অরিয়েন্টেশন ট্রেনিং দিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুত রেখেছি। পর্যায়ক্রমে তারা একদম বিনাপারিশ্রমিকে কাজ করে যাচ্ছে।
 
প্রস্তুত আছে আরও ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। প্রয়োজনে দুর্যোগ কিংবা মহামারিতে তারাও থাকবে মানুষের পাশে।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি