জিডি করেও রক্ষা পায়নি সুমনের পরিবার
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২৭ জুলাই ২০২০

হুমকি-ধামকি ঘটনায় থানায় জিডি করেও রক্ষা হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামের সংখ্যালঘু কয়েকটি পরিবারের। প্রভাবশালীদের হামলার শিকার হন এলাকার নারায়ণ সূত্রধরের ছেলে সুমন সূত্রধর। হামলায় তার ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে গোকর্ণঘাট গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া একই এলাকার নারায়ণ সূত্রধরের ছেলে সুমন সূত্রধরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে গত ১০ মে সুমন সদর থানায় মুছা মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেন।
জিডি করার ঘটনায় পুলিশ তদন্তে গেলে ক্ষিপ্ত হন প্রভাবশালী মুছা ও তার সহযোগীরা।জিডি করার অপরাধে নারায়ণ সূত্রধরের বাড়িতে গিয়ে টাকা চেয়ে চাপ দেয়। এমনকি মুছা মিয়া ও তার সহযোগীরা গত ৬ জুলাই সুমনের ওপর হামলা চালায়।
এতে বাবা নারায়ণ সূত্রধর সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় সুমনের ঠোঁট কেটে যায়। আহতাবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় সুমন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মুছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়।
অপর আসামিরা হলেন-একই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩৫), মৃত লাল মিয়ার ছেলে কুদ্দুছ মিয়া (৫৫), মৃত বাচ্চু মিয়া ছেলে নাজির মিয়া (৪৫), মৃত কফিল মিয়ার ছেলে বাহাদুর মিয়া (৪২) ও মৃত মলাই মিয়ার ছেলে শাহআলম মিয়া (৫০)।
এ ঘটনায় পুলিশ গত ২৫ জুলাই মুছা মিয়াকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই অপর আসামিরা নারায়ণ সূত্রধরের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। নয়তো গোকর্ণঘাট এলাকা থেকে তার পরিবারকে বিতারিত করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, 'আমরা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।'
এআই/ এসএ/
আরও পড়ুন