ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পানি কমতে থাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৬, ২৮ জুলাই ২০২০

উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু নদীর পানি কমলেও অনেক নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। আর পানি কমতে থাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের খামার। এখনো পানিবন্দি কয়েকলাখ মানুষ। অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মহিমাগঞ্জে বোচাদহ গ্রামে বাঙ্গালী নদীর পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত। ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসল-সহ শ’ শ’ একর আখের জমি ও ঘরবাড়ি। অন্যদিকে পানি কমতে থাকায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানিতে ব্রহ্মপুুত্র নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। মাত্র তিন দিনে ২টি মন্দির-সহ অন্তত ২শ’ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। 

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ব্রহ্মপূত্র অববাহিকায় এখনো অনেক পরিবার পানিবন্দি। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট ও আমনের বীজতলা নিয়ে বিপাকে বানভাসী মানুষ।

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও অন্যান্য নদীর পানি বেড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ১০ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি। জেলার বাসাইল, মির্জাপুর ও কালিহাতী উপজেলার মানুষের দীর্র্ঘমেয়াদি বন্যার ফাঁদে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। 

জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানি। জেলার ৭ উপজেলার ১০ লাখ মানুষ একমাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। রেললাইনের উপর পানি ওঠায় দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের সাথে রেল যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন।

ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাদিপুর শহররক্ষা বেড়িবাঁধ দ্বিতীয় বারের মতো ভেঙ্গেছে। এতে বর্ধিত পৌরসভার ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী  নদীর পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত রয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া ও কালিয়াকৈর-ধামরাই সড়কের বিভিন্ন স্থান। 
সুনামগঞ্জে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। ১১ উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৩ হাজার ৮১টি পুকুর ও দীঘী ও খামারের মাছ। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩২কোটি টাকার। 

লালমনিরহাটে চর সোনাইগাজী, চর যতীন্দ্রনারায়ন, চর ফলিমারী, চর খারুয়া, চর রাজপুর, মাঝের চর, চর কালমাটি, চর নরসিংহ ও চর গোর্বধানে বানভাসি দুঃস্থদের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে ট্রাই ফাউন্ডেশন।

 

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি