ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ৩১ জুলাই ২০২৫

বৈরি আবহাওয়ার কারণে আম পাকতে দেরি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২০, ৩০ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

বৈরী আবহাওয়ায় বিলম্বে গাছে মুকুল আসায় এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম পাকতে দেরি হয়েছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে মুকুল আসে। আম গুটি হবার সময় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিঘ্নিত হয় বাগান পরিচর্যার কাজ। ফলে কোটি টাকা লগ্নি করে আম বাজারজাত করা নিয়ে শংকিত ব্যবসায়ীরা।
 

উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাচীনকাল থেকেই রসালো ও সুস্বাদু আমের জন্য বিখ্যাত। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে ২৭ লাখ। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে ৩১ হাজার ৫’শ হেক্টর জমির ২৬ লাখ গাছে আম উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

মৌসুম জুড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বাণিজ্য হয় দেড় হাজার থেকে ২ হাজার কোটি টাকার। জেলার সর্ববৃহৎ আম বাজার কানসাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়।

দেশে করোনা দেখা দেওয়ায় আম চাষীরা আমের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে  দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে করোনা তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, লকডাউনের কারণে আমের দাম একটু কম হলেও, আমের ও যথেষ্ট পরিমাণ ক্রেতা আছে, কিন্তু আবহাওয়ার কারণে আমের উৎপাদন ব্যবহত হচ্ছে।

বাগান মালিকরা জানান, বিলম্বে মুকুল ফোটায়, আম পাকতে দেরি হয়েছে। করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা। এত দিনে আম খাওয়ার উপযোগী হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু তা হচ্ছে না।

আম চাষীরা আশা করেন আম বাগান যেন আধুনিক আমবাগানে পরিণত হয়।

করোনার পাশাপাশি উৎপাদন বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক চাষী উল্লেখ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার কারণে উৎপাদনে বিলম্ব হলেও আম চাষীরা যথেষ্ট পরিমাণ দাম পাচ্ছেন। কানসাট বাজারে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয়।

এসইউএ/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি