সরাইলে মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা শতাধিক পরিবার
প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা শতাধিক পরিবার। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, সাখাইতি, ও লায়ারহাটি গ্রামের ঘরবাড়ি, মসজিদ ও চাতালকলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের কবলে থাকা শত শত পরিবার আতংকে দিনযাপন করছেন। শাখাইতি গ্রামের ওসমান গণি, চান মিয়া, মজনু মিয়া, আবুল কাশেম ও মোবারক মিয়াসহ স্থানিয়রা বলেন, আমরা বাল্যকাল থেকে দেখে আসছি প্রতিবছর মেঘনা নদীর পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া ৩টি গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা আতংকে আছি।
মেঘনার বামতীরে প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ না হলে যেকোনো সময় আমাদের গ্রামের বাড়ি-ঘরসহ বাকি অংশটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. দ্বীন ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের কবলে অত্র এলাকার ২০ থেকে ২৫টি চাতালমিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একেকটি চাতালমিলে কয়েক'শ শ্রমিক কাজ করত। ঘরবাড়ি ও চাতালমিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন তারা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীপন-যাপন করছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন, মেঘনা নদী ভাঙন রোধে সরাইল পানিশ্বর এলাকায় অস্থায়ী নদী তীর গতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ২৫০ কেজি বালু ভর্তি ১২ হাজার জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এগুলো মেঘনা নদীর তীরে বসানোর কাজ চলছে।
কেআই//
আরও পড়ুন