ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

সরিষা ক্ষেতের মধু যাচ্ছে বিদেশে (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১৫:১২, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

সরিষা চাষের পাশাপাশি মধু উৎপাদনে ঝুঁকেছেন কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইলের চাষিরা। উৎপাদন বাড়াতে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এদিকে টাঙ্গাইলের মধু রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। অন্য জেলা থেকেও রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোক্তারা।

কুষ্টিয়ার মিরপুরের গেটপাড়ার বাসিন্দা মামুন। ১৯৯৭ সালে মাস্টার্স পাস করার পর চাকরি পেছনে না ছুটে শুরু করেন মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন। দুটি বাক্স কিনে যাত্রা শুরু।

এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। মিরপুরের ধুবইল গেটপাড়া সরিষা মাঠে শতাধিক মৌবক্স বসিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৪-৫ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন করছেন মামুন। 

মামুনার রশিদ (মধু মামুন) বলেন, “সরিষা, লিচু, কালোজিরা এবং ধনিয়া ফুলের মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ টন।”

মধু রিফাইনিং মেশিন পেলে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা। 

মামুনার রশিদ বলেন, “রিফাইন মেশিন যদি কৃষি অধিদপ্তর থেকে পাই তাহলে ওই মধুর লংজিবিলিটা থাকে, তাই বিদেশে পাঠাতে পারবো।”

মামুনকে সহায়তার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেল-ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি। সেটাই এই একবছরেই প্রায় ৪০ শতাংশ আমাদের এখানে বৃদ্ধি পেয়েছে।”

শীত এলে অন্য জেলা থেকে মৌচাষীরা চলে আসেন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায়। এ বছর জেলায় প্রায় ২০ হাজার মৌবাক্স বসিয়েছেন চাষীরা। বিদেশেও যাচ্ছে এখানকার মধু। 

সাতক্ষীরার মৌ খামারী বলেন, “প্রসেসিং করে বিএসটিআই’র অনুমোদন করা মধু অনলাইনে সারাদেশে বিক্রি করে থাকি।”

এবার প্রায় একশ’ টন মধু সংগ্রহের আশা কৃষি বিভাগের।

 টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আহ্সানুল বাসার বলেন, “৩৬ টন মধু ইতিমধ্যে আহরণ করা হয়েছে।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ পদ্ধতির বাক্স স্থাপনে চলছে মধু সংগ্রহ। চাষীরা জানান, প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর এখান থেকে ১শ’ থেকে ১শ’ ২০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়। 

চাষীরা বলেন, “সরিষার কিছুদিন পরে ধনিয়া, এরপর কালোজিরা তারপর লিচুর মাঠে আমাদের এবছরের সিজন শেষ হবে।”

এ মৌসুমে প্রায় ১৪ লাখ টাকার মধু আহরণ সম্ভব হবে বলে আশা করছে জেলার কৃষি বিভাগ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, “মধু আহরণ শুরু হয়েছে, আমরা আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।”

মৌচাষে খাঁটি মধুর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরিষার ফলন বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন এ খাতের সঙ্গে জড়িতরা।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি