আলোচিত সাত খুনের ১১ বছর আজ, নিষ্পত্তি হয়নি মামলা
প্রকাশিত : ০৯:৫১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১১ বছর আজ। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ৩৩ মাস পর জেলা জজ আদালত এবং ১৯ মাসে হাইকোর্টে রায় হয়। কিন্তু সাড়ে ৭ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি আপীল বিভাগে। এতে নিহতদের পরিবারে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল, আদালত থেকে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তিরচর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায়ে প্রধান আসামী নূর হোসেন ও র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আসামিপক্ষ আপিল করলে একই বছর ২২ আগস্ট হাইকোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু আপিল বিভাগে সাড়ে ৭ বছরেও এর নিস্পত্তি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহতের স্বজনরা।
সাজাপ্রাপ্তরা আওয়ামী লীগের নেতা ও শীর্ষ নেতাদের আত্মীয় হওয়ায় ফ্যাসিস্ট সরকার রিভিও শুনানিতে বিচার কাজ স্থবির করে রেখেছে বলে অভিযোগ বাদীপক্ষের আইনজীবীর। আর উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আশাবাদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর।
হাইকোর্টের রায় আপিলে বহাল রেখে অবিলম্বে তা কার্যকরের দাবি নিহতদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে হাজিরা শেষে প্রাইভেটকারযোগে ফিরছিলেন নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। একইসময়ে আদালতের কার্যক্রম শেষে অপর একটি প্রাইভেটকারে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম।
পথিমধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে সাদা পোশাক পরিহিত র্যাব সদস্যরা তাদের ৭ জনকেই অপহরণ করেন। অপহরণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ। দফায় দফায় চলতে থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীর চর ধলেশ্বরী এলাকা থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এএইচ
আরও পড়ুন