শহীদ বাবার পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন লামিয়া
প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

লামিয়ার জানাজায় অংশ নেন হাজারও মানুষ।
জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তার মেয়ে লামিয়া।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে লামিয়াকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেক ৬নং রোডে ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লামিয়া।
ময়না তদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় লামিয়ার মরদেহ পটুয়াখালীর দুমকিতে পাঙ্গাশিয়া গ্রামে পৌঁছাইলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন,
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, এনসিপি'র মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) সারজিস আলম, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক, দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির এ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান।
এছাড়া ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্ আল নাহিয়ান প্রমুখ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানা বাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। তিনি ওই ঘটনার দুইদিন পর গত ২০ মার্চ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন লামিয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, অপরাধের বিচার না হওয়া এবং সামাজিক চাপের মুখে পড়ে লামিয়া চরম হতাশায় আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন