ফরিদপুরের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ: বিস্ফোরক আইনে মামলা
প্রকাশিত : ২২:০১, ৯ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় গত ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে বোয়ালমারী থানায় এই মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়, যাতে কয়েক শত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর বিকেলে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম-এর গ্রুপ এবং উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু-এর গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে মোটরসাইকেল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
প্রথম মামলায় নাসিরুল ইসলাম গ্রুপের সমর্থক বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুকে প্রধান আসামী এবং জনতা পার্টির ১নং উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে ২নং আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। এছাড়াও ৩০০ থেকে ৪০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে ঐ মামলায়।
অপরদিকে দ্বিতীয় মামলায় ঝুনু গ্রুপের সমর্থক সাবেক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান বাবু বাদী হয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও ঐ মামলায় ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একই মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এমআর//
আরও পড়ুন










