ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

না ফেরার দেশে সন্দ্বীপের কালাম স্যার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:০২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চট্রগ্রামের  দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের  রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জনপ্রিয় প্রবীণ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ (৫৪) গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৮ টায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউড অব নিউরো সায়েন্স হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১৮ আগস্ট তার ব্রেণ স্টোক করে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় মরহুমের মরদেহ নিজ কর্মস্থল রহমতপুর হাই স্কুলের মাঠে এসে পৌঁছালে হাজারো শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে  আসে। মেঘনা নদীর পাড়ে তাঁর নামাজে জানাজা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি মানুষ সমেবেত হন।

জানাজায় বেদনাবিধূর কন্ঠে সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, ‘‘সন্দ্বীপের শিক্ষাঙ্গনে আবুল কালাম আজাদ স্যার সকলের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। একজন কিংবদন্তিতুল্য শিক্ষককে হারালাম। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তিনি মুক্তিযুদ্বের চেতনায় সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার সৈনিক ছিলেন। এমনকি তিনি তাঁর ছাত্রদের কাছে বরাবরই `হিরো` নামে পরিচিত ছিলেন।’’

রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার ইলিয়াছ খান বলেন, "আমরা একজন জাত শিক্ষককে হারালাম। কালাম স্যারের মতো  উদার চিত্তের শিক্ষক আমার জীবনে খুবই কম দেখেছি। তিনি আজীবন ছাত্রদের আদর্শিক পথে দীক্ষিত করে গেছেন। আমার দেখা তিনি একজন বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব।"

তিনি একধারে শিক্ষক,সমাজকর্মী,নাট্যজন,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বহুমূখী প্রতিভার এই  নিরলস  কর্মবীর মানুষটি সব সময় সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে ছাত্রদের সংকটে সম্ভাবনায় পথ দেখাতেন। তাঁর  আপোসহীন ব্যক্তিত্বের  জন্যে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছাত্ররা।

তিনি সন্দ্বীপে কালাম স্যার নামে অতি পরিচিত। ইংরেজিতে অগাধ পান্ডিত্বের অধিকারী হওয়ায় দিগ্বিদিক তাঁর সুনাম ও সুখ্যাতি সবার নজর কেড়েছে। এছাড়াও তাঁকে মফস্বলের আলোর দিশারি হিসেবে  বিশিষ্টজনেরা মূল্যায়ন করতেন।

পরে তাঁকে দলইপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে, এক মেয়ে ও সহধর্মিণীসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে যান।

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি