ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

হত্যার ঘটনা সত্য, তবে কেন জটিলতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৪, ১৮ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৮, ১৮ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গত ২৬ জুন প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

এদিকে, নিহতের স্ত্রী মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মিন্নিকে গ্রেফতারের পর গতকাল বুধবার আদালতে নেয়া হলে তার পক্ষে কোনও আইনজীবী লড়তে রাজী হননি।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্ন রেখে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন বিভিন্ন জন। কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর এ হত্যাকাণ্ড ও তদন্ত নিয়ে তুলে ধরেছেন তার নিজস্ব মতামত।

মিন্নি আগেই বিবাহিত বা নয়নের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল জেনেই যারা তাকে অপরাধী মেনে নিয়েছেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ সে অপরাধের জন্য তাকে খুনি সাব্যস্ত করবেন না, মিন্নির মত অপরাধী (আপনাদের মতে) ঘরে ঘরে আছেন! কিন্তু রিফাতের খুনিরা হাতে গোনা মাত্র, ওদের নিশ্চিহ্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হন।

মিন্নি দোষী কি না, রিফাত হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা আছে কি না। সেটা তদন্তের এবং আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের বিষয়। প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা সত্য, তবে কেন জটিলতা? আসলে কোনদিকে মোড় নিচ্ছে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত? বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি