ঢাকা, সোমবার   ৩০ জুন ২০২৫

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৫০, ১২ মার্চ ২০২০

Ekushey Television Ltd.

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির বাহিনীর ২ সদস্য নিহত হয়েছেন। 

র‌্যাবের টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার জানান, ‘বুধবার (১১ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে টেকনাফের শামলাপুল মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় অভিযানে নামে র‌্যাব। সে সময় সংঘবদ্ধ ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের হাবিলদার খায়রুল, এএসআই আবু কায়সার ও সার্জেন্ট হুমায়ুন আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিঙ্গা ডাকাত নুর কামাল (৩২) ও সাইফুল ইসলাম  (৩৪) কে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’ 

তিনি জানান, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বন্দুক, ছয়টি গুলি, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, দুটি আইডি কার্ড এবং ৪০ হাজার পাঁচশ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।’

নিহত ডাকাতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুর আহমদের ছেলে নুর কামাল ওরফে ডাকাত সোনায়া ও মৌচনি ক্যাম্পের আবদুস শুক্কুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে ডিবি সাইফুল। তারা দুজনই সাত বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।   

র‌্যাব জানিয়েছে, নিহত দুজনই ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকিরের সহযোগী এবং অস্ত্র ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পোশাক সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে তাদের হাতে র‌্যাবের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। 

নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে বলেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

সম্প্রতি টেকনাফের নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অস্ত্রধারী জকির বাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ মাদক ব্যবসা, খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এর আগেও সন্ত্রাসীদের সাথে আইন শৃংখলাবাহিনীর গোলাগুলির একাধিক ঘটনা ঘটেছিল। এতে রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আলমসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে থেকে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বেড়েছে। গত ১১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৭৭ জন রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে পুলিশের অভিযানে ৩১, বিজিবির অভিযানে ২২ এবং র‌্যাবের অভিযানে ২৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

এআই/


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি