ঢাকা, রবিবার   ০৬ জুলাই ২০২৫

ঈদে সাড়া ফেলতে আসছে ‘নবাবগঞ্জের নবাব’!

দোহার- নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৩৪, ১৫ জুলাই ২০২০

‘নবাবগঞ্জের নবাব’

‘নবাবগঞ্জের নবাব’

Ekushey Television Ltd.

দুই বছর ৪ মাস আগে শখের বসে অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রাল প্রজাতির একটি গরুর লালন পালন শুরু করেন দন্ত চিকিৎসক মনির আহমেদ। গরুর মালিক এবারের ঈদে গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ লাখ টাকা। দামের সঙ্গে নামের মিলটা খুঁজতে তাকে প্রশ্ন করা হলো- গরুটির নাম কি? প্রশ্ন করতেই মুঁচকি হাসি দিয়ে বীর দর্পে বললেন ‘নবাব’। কুচকুচে কালো রংয়ের ‘নবাব’কে দেখতে ইতোমধ্যে দোহার-নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন উপজেলার ছোট বক্সনগর এলাকাস্থ মনির আহমেদের বাড়িতে।

কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে উচ্চবিত্তদের কাছে পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে এই অস্ট্রাল জাতের গরু। ৬ ফুট উচ্চতার নবাবের ওজন প্রায় ১ টন বলে দাবি মালিকের। তাই আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে নবাবের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। 

জানা যায়, দন্ত চিকিৎসক মনির নবাবকে পরম যত্নে লালন করেছেন নিজ সন্তানের মতোই। তিনি, তার ছোট ভাই পনির আহমেদ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ব্যস্ত থাকেন ‘নবাব’-এর সেবা যত্নে। নবাবের থাকার জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেডের ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সু-ব্যবস্থা। 

বুধবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরুটির মালিক মনির আহমেদ পরম যত্নে নবাব’কে গোসল করাচ্ছেন। কাজের ফাঁকে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, অনেক যত্ন করে আমি ‘নবাব’কে দুই বছর চার মাস ধরে লালন পালন করে আসছি। গরুটির বয়স এখন ৩ বছর ৮ মাস। নবাবের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস, সয়াবিনের খৈর, গম, ভুট্টা, ছোলা, পায়রা। আমিসহ পরিবারের সকলে ২৪ ঘণ্টাই নবাবের সেবাযত্ন নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এছাড়া নবাবকে লালন পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছে।

তিনি আরো বলেন, করোনার মহামারি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই কুরবানির হাটে গিয়ে বিক্রির তেমন কোন ইচ্ছা নেই। আমার ইচ্ছা নবাবকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবো। আশা করি, আমার চাহিদা মতো দাম পাবো। ইতিমধ্যেই নবাব’কে এক নজর দেখতে দোহার ও নবাবগঞ্জের সৌখিন ও বিত্তবান মানুষেরা তার বাড়িতে ভিড় করছেন। এলাকার মানুষের মাঝে এক বাড়তি আমেজ সৃষ্টি হয়েছে নবাব’কে ঘিরে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সম্পা ও মো. আনিস জানান, নবাব নামের গরুটির মালিক মনির গরুটিকে সন্তানের স্নেহে দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করে আসছেন। গরুটিকে দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখতে এলাকাবাসী হিসেবে আমাদেরও ভালো লাগছে। 

নবাবের মালিক মনিরের মেয়ে নুসরাত আহমেদ আদ্রিতা বলেন, আমার বাবা আমাকে যেভাবে লালন-পালন করেন ঠিক নবাব’কেও সেইভাবে লালন পালন করছেন। সারাক্ষণই নবাব’কে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বাবা।

এদিকে, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে প্রিয় নবাবকে নিয়ে নিজের স্বপ্নকেও আরো ঘনীভূত করছেন দন্ত চিকিৎসক মনির আহমেদ। ন্যায্যমূলেই বিক্রি হবে নবাবগঞ্জের নবাব এমন প্রত্যাশা তার।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি