ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সিনহা হত্যা: ৭ দিনের রিমান্ডে এপিবিএনের তিন সদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪২, ১৮ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৩:৪৬, ১৮ আগস্ট ২০২০

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। 

র‌্যাবের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আজ সকালে গ্রেফতারকৃত এপিবিএন’র তিন সদস্যকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত  শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। এরা তিনজনই গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন। 

এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কারাগারে থাকা রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। কিন্তু, র‌্যাবের একটি দল ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়। একইভাবে ওসি প্রদীপকে আমরাও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগারে পৌঁছেছি। যেহেতু ওসি প্রদীপকে আমাদেরও জিজ্ঞাসাবাদেও প্রয়োজন ছিল, সেহেতু পুরো বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করেছি।  কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এর আগে গতকাল সোমবার র‌্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, ‘ওসি প্রদীপ কুমারসহ তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। একই সাথে ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে জিডি মূলে রক্ষিত আছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরাঞ্জামাদি র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলার তদন্তের স্বার্থে উক্ত কম্পিউটার ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিবে।’

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। 

ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে। তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে রিমান্ড শুনানি করছে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।  

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি