ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

আড়াইহাজারে বিধবা নারীকে কয়েকদফা গণধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৬:১৩, ১৫ অক্টোবর ২০২০

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দুই সন্তানের জননী বিধবা এক নারী (৪০) কয়েকদফা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত সপ্তাহে উপজেলার কায়েমপুরে ৬ জনের কাছে পাশবিক এ নির্যাতনের শিকার হন তিনি। 

এ ঘটনায় আলী আকবর নামে একজনকে প্রধান আসামি করে গতরাতে ছয়জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। 

মামলার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নৈকাহন আখরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আলী আকবর (৫০)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কায়েমপুর এলাকার দুই সন্তানের জননী বিধবা নারী একই উপজেলার বিনাইচরস্থ ভাই ভাই স্পিনিং মিলে কাজ করেন। গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি দোকানে ওষুধ আনতে যান। এ সময় নৈকাহন বাজারের আনিসের মার্কেটের সামনে পৌঁছালে আলী আকবর তাকে বাজারের মাছের দোকানে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সাটার বন্ধ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। 

এ সময় ওই নারী দোকান থেকে বের হলে বাহিরে থাকা একই এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তফা (৫৫), একই এলাকার আনারুল (৪০) ও লিটন (৩২) এ ঘটনায় আপোষের কথা বলে লিটনের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে লিটন ফোন করে শাহীন (৩২) ও তরিকুল (৩৪)-কে ডেকে এনে নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতে চায়। এতে রাজি না হওয়ায় শাহীন ও তরিকুল নারীকে জোর করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকার আলী হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও বিধবা নারী লোকলজ্জা ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা গোপন রাখেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে গতরাতে আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামি আলী আকবরকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি