ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সিরাজগঞ্জে খাস জমি বিক্রির অভিযোগ (ভিডিও)

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০৬, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে অর্থের বিনিময়ে ধনী ব্যক্তিদের ভূমিহীন বানিয়ে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ আবার জমি বরাদ্দ নিয়ে বিক্রিও করে দিয়েছেন। আর ভূমিহীনরা বলছেন, ঘুষ দিয়েও জমি পায়নি তারা।

সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল, পঞ্চসোনাসহ আশপাশের মৌজার ৪৬ বিঘা খাস জমি ৯০ জনকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে আছেন পঞ্চসোনা মৌজার গোলবার শেখ ও খাস বড়শিমুলের জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ, এই দুইজনই বিত্তশালী। শুধু তারাই নয় এমন আরও ৭৮ জন বরাদ্দ পেয়েছেন খাস জমি। 

গোলবার শেখ জানান, পূর্বের থেকেই খাস হয়েছিল। সিএসএ খাস, এসএ-তে খাস, আরএসেও খাস। সেটা আমি পেয়েছি। 

জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকার ভূমিহীনদের জন্য এই জমি ছেড়েছিল। আমি ভূমিহীন, এই জন্য তারা আমাকে ৩৮ ডিসিমেল জমি দিয়েছে। 

অথচ পঞ্চসোনার হতদরিদ্র কোরবান আলী দীর্ঘদিন ধরে ৩১ শতাংশ খাস জমিতে বসবাস করে আসলেও বরাদ্দ পাননি তিনি।

খাস জমি ক্রয়কারী জানান, ইকবাল ও হামিদুল সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে আমাদেরকে রেজিস্ট্রারি করে দিয়েছে। এরা সরকারের কাছ থেকে ভূমিহীন হিসেবে এই জমি বরাদ্দ নেয়।

অভিযোগ, উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষের দাবি মেটাতে না পারলে জমির বরাদ্দ পাওয়া যায়না।

স্থানীয়রা জানান, যারা ভূমিহীন নয় তারাই তো পেয়েছে জমি। 

খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে জানতে অফিসে গিয়ে সার্ভেয়ার সেলিম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তবে ফোনে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

ফোনে সার্ভেয়ার সেলিম হোসেন জানান, এতে আমাদের কোন কিছু করার থাকে না। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেক লোকজন থাকে। তারা যদি অনুমতি দেন তাহলেই ভূমি পেয়ে থাকেন।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী মোঃ গোলাম রাব্বী বলেন, আমাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে তাহলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে যারাই দায়ী হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভূমিহীনদের।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি