ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যশোরে চালু হয়নি পোনা বিক্রয় কেন্দ্র

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২১

যশোরের চাঁচড়ায় মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে। তবে এখনো চালু হয়নি। প্রায় দেড় বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হস্তান্তর করা হয়নি মৎস্যজীবীদের কাছে। কবে নাগাদ তা হবে তাও বলতে পারছে না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।  

মৎস্য বিভাগের হিসাব বলছে, দেশে মাছের যে পরিমাণ রেণু-পোনা উৎপাদন হয় তার ৬০ ভাগ হয় যশোরের চাঁচড়ার হ্যাচারি ও নার্সারিগুলোতে। বছরে উৎপাদন হয় প্রায় ৬৮ হাজার কেজি রেণু। এই রেণুর নির্ধারিত কোন বাজার না থাকায় রাস্তার পাশে খোলা স্থানে মাছ চাষীদের রেণু বা পোনা বিক্রি করতে হয়। 

২০১৯ সালের প্রথম দিকে চাঁচড়া এলাকায় প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অধিদপ্তর পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করে। একই বছরের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

মৎস্য চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, এটা করেছে যাতে আমরা রাস্তায় বসে মাছ বিক্রি না করে এই স্থানে এসে বিক্রি করি। কিন্তু এটা পূর্ণাঙ্গভাবে হয়নি। সেলস সেন্টারটি এমন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে যে, এই সেলস সেন্টারটি মাছ বিক্রির জন্য অযোগ্য। এখন এর কার্যক্রম শুরু হয়নি, তাতে আমরা হতাশ। সরকারের কাছে দাবি, এটা দ্রুত যাতে চালু করে। 

বিক্রয় কেন্দ্রটি চালু হলে যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। 

যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ফিরোজ খান বলেন, কোন এক অদৃশ্য কারণে এই বিক্রি কেন্দ্রটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।

সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার বলেন, যশোর জেলায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। সেখানে যদি ১শ’ লোকের সমাগম ঘটে, সেই সেলস সেন্টার আমাদের কি কাজে লাগতে পারে।

তবে স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর কেন্দ্রটি কবে নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আনিচুর রহমান বলেন, এর ভেতর মূল নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে প্রকৃত সুফলভোগীদের মাঝে এই স্থাপনাটা হস্তান্তর করতে পারেনি।

যশোরে বর্তমানে দেড় লাখ মানুষ সরাসরি মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদনের সাথে জড়িত। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি