ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

খুড়িয়ে চলছে গাইবান্ধার একমাত্র মাতৃসদনটি (ভিডিও)

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৪০, ২২ মে ২০২১

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে গাইবান্ধার প্রসূতি মায়েদের একমাত্র চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রটি। দীর্ঘদিন নেই গাইনী ডাক্তার। ফলে নার্স দিয়েই চলছে শুধু চেকআপের কাজ। ডাক্তারের অভাবে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন।

গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সেবার মান ভালো থাকায় প্রায় ১ যুগ ধরে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গত বছর থেকে মাতৃসদনে মিলছে না প্রত্যাশিত সেবা। 

২০২০ সালের প্রথম দিকে একজন প্রসূতি মা মাতৃসদনে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়নি। পরে রাস্তায় অটোরিক্সার মধ্যেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। সে সময় মাতৃসদনের এমন আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে স্থানীয়রা। 

স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর যাবত একটি সিজারও এই মাতৃসদনে হয়নি, নর্মাল ডেলিভারিও কমে গেছে। অসংখ্য অনিয়ম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই মাতৃসদন প্রতিষ্ঠানটি চলছে।

এক পর্যায়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশে সেখানকার এক ডাক্তারসহ দু’জনকে বদলী করা হয়। তারপর নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও দীর্ঘ ৮ মাসেও কাজে যোগ দেননি তিনি। ফলে অকার্যকর হয়ে পড়েছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।

সেবা নিতে আসা এক প্রসূতি জানান, এখানে আসলে পরে সিজার হতে পারে, টাকা-পয়সা লাগে না। জরুরিভিত্তিতে একজন গাইনী প্রফেসর দরকার। 

মাতৃসদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, সিজার করার প্রয়োজন হচ্ছে কিন্তু সেটা আমরা করতে পারছি না। রোগীকে পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। রোগী ১০টি এসেছে, তার মধ্যে হয়তো ৮টি নর্মাল করতে পারছি, দুটি সিজার। অনেক জটিল রোগী আসে তাদেরকে তো সবক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারছি না। গাইনী না থাকার কারণে এসব জটিলতা আমরা করতে পারছি না।

গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: রেজোয়ান বলেন, বদলি হয়ে যাওয়ার পর যার আসার কথা ছিল সে এখনও যোগদান করেনি।

মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মাতৃসদন সংশ্লিষ্টরা কার্যকর ভূমিকা রাখবেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ফিরে পাবে আগের সুনাম, এমনটাই প্রত্যাশা গাইবান্ধাবাসীর।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি