ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

হিলিতে চামড়া কিনা নিয়ে সংশয়ে ব্যবসায়ীরা

হিলি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৮:৫৫, ১৯ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৯:১৮, ১৯ জুলাই ২০২১

গতবছরের চামড়ার বকেয়া পাওনা টাকা না পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে চামড়া কিনা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন হিলির চামড়া ব্যবসায়ীরা। এদিকে সরকার ঘোষিত মুল্য কম হওয়ায় ভারতে দাম ও ভালো চাহীদা থাকায় সীমান্ত দিয়ে চামড়া ভারতে পাচারের আশংকা ব্যবসায়ীদের। তবে সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

সীমান্তবর্তী এলাকা হিলির মুন্সিপাড়াস্থ চামড়াপট্টিতে রয়েছেন ৮জন চামড়া ব্যবসায়ী। যারা সারাবছর গরু ছাগলভেড়াসহ বিভিন্ন চামড়া ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন।এছাড়াও মৌসুমি কিছু চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা চামড়া কেনাবেচা করে থাকেন। 

হিলির চামড়া ব্যবসায়ী আমজাদ মুন্সি বলেন, একেতো গতবছরে চামড়ার দাম না থাকায় ও চামড়া বিক্রি করতে না পারায় গতবছরে অনেক চামড়া পচে নষ্ট হওয়ায় তা ফেলে দিতে হয়েছিল। অনেক জায়গায় চামড়া পানিতে ফেলে দিয়েছে আবার কেউবা মাটিতে পুতে ফেলেছিল। এরপরেও কিন্তু আমরা মানুষের নিকট ধার দেনা চামড়া কিনে মোকামে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু গতবছরের ২০/২৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ঢাকা, নাটোর সৈয়দপুরের বিভিন্ন মহাজনের কাছে আমাদের এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীদের। তারা বলছে ট্যানারী মালিকরা যদি আমাদেরকে চারভাগের একভাগ পেমেন্ট দেয় তাহলে আমরা কিভাবে টাকা দিবো। সেই বকেয়া টাকায় এখন পর্যন্ত পরিশোধ হয়নি যার কারনে এবারের ঈদে কি করে চামড়া কিনবো সেটি নিয়ে সংশয়ে রয়েছি আমরা ব্যবসায়ীরা। টাকা না দিতে পারলে মানুষকি বাকিতে কোরবানির পশুর চামড়া দিবে আমাদেরকে এটা গরীবের হক টাকা আমাদের দিতেই হবে তাদেরকে। একেতো টাকা নেই তার উপর হয়তোবা মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে চামড়া না হয় কিনলাম কিন্তু ঈদের পরে যে ১৪দিনের লকডাউন শুরু হবে তাতে করে চামড়া প্রস্তুত করে বিক্রি করতে না পারি তাহলে কি করে চামড়া কিনবো সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি আমরা। 

অপর চামড়া ব্যবসায়ী রিপন মুন্সি বলেন, সরকার যে এবার চামড়ার মুল্য নির্ধারন করে দিয়েছে তাতে করে এই মুল্যে চামড়া কিনে শ্রমিকের দাম বেশী লবনের দাম বেশী সবকিছু মিলিয়ে আমাদের কোন লাভ থাকবেনা। আর বাংলাদেশে যদি চামড়ার দাম কম হয় তাহলেতো সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু দাম কম তাই চোরাইপথে চামড়া ভারতে চলে যেতে পারে বলেও আশংকা করছি আমরা। তাই আমাদের পুরানো বকেয়া টাকা দিতে হবে সেই সাথে সরকারকে এই বিষয়টি দেখতে হবে যাতে করে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার না হয়। 

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, হিলি যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা তাই সীমান্ত দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচাড় হয়ে যাওয়া বা ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবনতার আশংকা বরাবরই থাকে। যাতে ভারতে চামড়া পাচার না হতে পারে এজন্য আমরা ইতোমধ্যেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিজিবির দৃষ্টি আকর্ষন করছি এ বিষয়ে। তারা সর্বচ্চো সতর্কাবস্থায় থাকবেন যেন এই ধরনের কোন ঘটনা এখানে না ঘটে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের দেশীয় চামড়া শিল্প সেটিকে বাচিয়ে রাখার জন্য উপজেলা পর্যায়ে যা যা করনীয় সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবো।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি