নওগাঁয় এসি বিস্ফোরণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগুন
প্রকাশিত : ১৬:৪৯, ১০ আগস্ট ২০২১
![নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে অপারেশন থিয়েটারের ব্যাপক ক্ষতি নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে অপারেশন থিয়েটারের ব্যাপক ক্ষতি](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/Naogaon-Hospital-Fire-2108101049.jpg)
নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে অপারেশন থিয়েটারের ব্যাপক ক্ষতি
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসি বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে অল্পের জন্য হাসপাতালে ভর্তি রোগীসহ অন্যান্য সম্পদ রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘঠে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতির শর্টসার্কিট থেকে এই এই ঘটনা ঘঠেছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলার অপারেশন থিয়েটারের নষ্ট এসি মেরামত করছিলেন ইলেক্ট্রেশিয়ান। এসময় এসি বিস্ফোরণ ঘটে মুহূর্তেই গোটা কক্ষে আগুন ছড়িয়ে যায়। সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
এতে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও হাসপাতালে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় চিকিৎসা নিতে আসা ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা দিকবিদিক ছুটাছুটি করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকাল ১০টায় ওটি রুমের নষ্ট এসি মেরামতের সময় হঠাৎ বৈদ্যুতিক গোলযোগে আগুন ধরে যায়। প্রথমেই হাসপাতালে রক্ষিত ফায়ার ইনজেকশন ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় ভর্তি রোগীদের দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তারা সকলেই সুস্থ্য আছেন।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, আগুনে অপারেশন থিয়েটার সম্পূর্ণ রূপে ভষ্মিভূত হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়। হাসপাতালে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি প্রশস্ত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। আর কিছু বিলম্বে হলে হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থা ঘটে যাওয়ার আশংকা ছিল।
নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন চার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ১৫ মিনিটের মধ্যে খবর পেয়ে সরঞ্জামসহ দ্রুত হাসপাতালের দিকে ফায়ার সদস্যরা রওয়ানা হয়, তবে রাস্তায় সমস্যার কারণে যেতে একটু বিলম্ব হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আর কিছু সময় বিলম্ব হলে হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতো।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব দেওয়া সম্ভব হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন