ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

ময়লার স্তূপ সরানোয় ৩৫ দোকানীর মুখে হাসি

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ৯ নভেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

যশোরের নাভারন বাজারের মধ্যে ছিল ময়লা ফেলার ভাগাড়। ময়লার স্তূপ সরিয়ে সেখানে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ৩৫টি দোকান ঘর। দোকান পেয়ে ৩৫ ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটেছে। দোকানীদের পূর্নবাসন করায় পাল্টে গেছে তাদের জীবন চিত্র। 

আর এই সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছেন যশোরের শার্শা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন।

নাভারন রেলবাজারের রুহুল আমীন (৫৫) বলেন, ফুটপাতে ছিলাম, এখন ঘর পাইছি। এই ব্যবসা থেকে ৮ জনের সংসার চলে। প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়। 

ত্রিমোহিনী শ্যামলাগাছি গ্রামের কামাল হোসেন (৩৮) বলেন, ‘আমি আগে ফুটপাতে দোকানদারি করতাম। তখন অনেক ঝুটঝামেলা হতো। হাইওয়ে পুলিশ এসে আমাদের দোকান তুলে দিত। এখন ভাল আছি। কেউ ঝামেলা করে না।’

ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর গ্রামের নুর ইসলাম (৫৮) বলেন, ‘তিন বছর এখানে দোকানদারি করছি। চেয়ারম্যান ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করে আমাদের বসার জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন। ঘরভাড়া লাগেনা, ১০ টাকা খাজনা দেই। বেচাবিক্রি মোটামুটি ভাল। এক ছেলে, এক মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে ৪ জনের সংসার। খুবই ভাল আছি। ছেলেটার লেখাপড়া হলো না, মেয়েটা কৃষি ডিপ্লোমা পড়ছে।’

নাভারন চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সম্পাদক সালেহ আহম্মেদ মিন্টু বলেন, বাজারের মাঝ দিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চলে গেছে। এই সড়কের দুই ধারের ফুটপাত সব সময় থাকতো হকারদের দখলে। তাদেরকে মহাসড়কের পাশ থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নেওয়ার কারণে আজ যানজট মুক্ত হয়েছে নাভারন বাজার। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের সহায়তায় মাছ মাংশ ও কাঁচা বাজারে ড্রেন ও চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। 

শার্শা সদর ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, ‘নাভারন বাজারের ইজারাদারসহ ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপেক্ষিতে বাজারের ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করে সেখানে তাদের দোকান তৈরি করে দিয়েছি। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদ সহযোগিতা করেছে। দোকান পেয়ে ৩৫ ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটেছে।’

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি